সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধানবাদ জেলের ভিতরেই গুলিতে ঝাঁজরা করে হত্যা করা হয়েছে কুখ্যাত অপরাধী আমন সিংকে। এই গ্যাংস্টারকে ২০১৭ সালে প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র নীরজ সিং-সহ চারজনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ২০২১ সালের মে মাসে তাকে মির্জাপুর থেকে পাকড়াও করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) জওয়ানরা। এর পর থেকেই ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলে বন্দি ছিল সে।
এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার উত্তরপ্রদেশ, বিহারে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছিল। একাধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল সে। এছাড়াও সাম্প্রতিককালে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের হোটেল ব্যবসায়ী অরবিন্দ ভগত এবং শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কের উপরে ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের ঘটনায় ওই আমনের দলের লোকজন জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের। এ জন্য তাকে ধানবাদ জেলে গিয়ে বাংলার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল।
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্যাংওয়ারের শিকার এই আমন সিং। জেলের অন্দরে বসেই সে নিজস্ব গ্যাং অপারেট করছিল বলে অভিযোগ। একাধিক ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে তোলাবাজি করারও অভিযোগ ছিল। ধানবাদের নামজাদা চিকিৎসক ডা. সমীর কুমারের থেকে বিপুল অর্থ তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ছিল এই জেলবন্দি গ্যাংস্টারের বিরুদ্ধে। আমন সিং এবং তার সাগরেদদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত পরিবার-সহ শহর ছাড়তে বাধ্য হন এই চিকিৎসক।
[আরও পড়ুন: ডাইনে কান্তি, বামে বিকাশ, মঞ্চের মধ্যমণি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
জানা যাচ্ছে, অন্তত সাত থেকে দশটি গুলি করা হয়েছে গ্যাংস্টার আমন সিংকে। মাথায়, চোখে, কাঁধে এবং পেটে গুলি লাগে তার। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ধানবাদ জেলে পৌঁছন জেলা পুলিশের সর্বোচ্চ আধিকারিকরা। কে বা কারা জেলের ভিতরে নৃশংসভাবে আমন সিংকে খুন করল, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলের মধ্যে বন্দি কয়েদিকে হত্যার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র কীভাবে পৌঁছল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে ধানবাদ জেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও।
[আরও পড়ুন: অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে অশান্তি চরমে! অপমানে আত্মঘাতী কলেজ ছাত্রী]
Source: Sangbad Pratidin