সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১টি মাত্র টেস্টে ২ উইকেট। ৩টি একদিনের ম্যাচে ৪ উইকেট। এদিকে ৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৩। সব ফরম্যাট মিলিয়ে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) হয়ে মোট ১০টি ম্যাচ খেলা মুকেশ কুমারকে (Mukesh Kumar) নিয়ে মজেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। খুব কম ম্যাচ খেললেও, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে প্রতি ম্যাচেই পারফর্ম করেছেন বাংলার পেসার। আর তাই এহেন মুকেশকে ‘জুনিয়র মহম্মদ শামি’ সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন অভিজ্ঞ অফ স্পিনার।
নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেছেন, “আমি প্রথমে ভেবেছিলাম মহম্মদ সিরাজ ভবিষ্যতে ‘জুনিয়র শামি’ তকমা পেতে পারে। তবে এখন মনে হচ্ছে মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) জায়গা মুকেশ নিতে পারবে। কারণ ছেলেটা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: মেজাজ হারিয়ে এবার কোন সতীর্থের দিকে তেড়ে গেলেন বাবর? দেখুন ভাইরাল ভিডিও]
অজিদের বিরুদ্ধে নজর কেড়েছিলেন মুকেশ কুমার। ছবি: টুইটার
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছিলেন মুকেশ। কোনও উইকেট না পেলেও, চার ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ২৯ রান। এরমধ্যে আবার ২০তম ওভারে মুকেশ মাত্র পাঁচ রান দেন। সেই সময় দুই বিগ হিটার মার্কাস স্টোয়নিস ও টিম ডেভিড ক্রিজে থাকলেও, মুকেশ ছিলেন দুরন্ত ফর্মে। নিজের উপর চাপ বাড়তে না দিয়ে, আঁটসাঁট বোলিং করেন। ২০ ওভারের ফরম্যাটে নিজেকে আরও তৈরি করার জন্য মুকেশ স্লো ইয়র্কার, স্লো বাউন্সার, ওয়াইড ইয়র্কার খুব ভালোভাবেই রপ্ত করেছিলেন। সেই প্রমাণ গত ম্যাচেই দিয়েছিলেন মুকেশ।
শামি সোজা রিস্ট পজিশন বজায় রেখে বোলিং করার জন্য বিখ্যাত। মুকেশের ক্ষেত্রেও সেটা লক্ষ্য করেছেন অশ্বিন। তাই যোগ করলেন, “মুকেশের শারীরিক গঠন ও উচ্চতা অনেকটা শামির মতো। তেমনই ভালো মুকেশের রিস্ট পজিশন। একেবারে শামির মতো সোজা সিম রেখে মুকেশ ওভারের পর ওভার বোলিং করতে পারে। সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর এবার অজিদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে দেখা গেল।”
কিন্তু কীভাবে বদলে গেলেন মুকেশ? সেই প্রসঙ্গে অশ্বিনের ব্যাখ্যা, “সিএবি-র দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন সৌরভ গাঙ্গুলি। ওয়াকার ইউনিস, ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং মুথাইয়া মুরলিধরনকে নিয়ে শুরু করেছিলেন ‘ভিশন 2020’। কাজের খোঁজে কলকাতায় আসা মুকেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তাঁকে একটি জার্সি দেওয়া হয়। জানানো হয় বোলিং করার জন্য ওর নাম ডাকা হবে। কিন্তু যখন নাম ডাকা হয়, মুকেশ বাথরুমে ছিল। ফিরে এসে মুকেশকে আরও ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। তখন শিবির প্রায় শেষের মুখে। ওয়াকার তখন মুকেশকে দুটি বল করতে বলে। সেই দুটি ডেলিভারিই বাংলার পেসারের জীবন বদলে দিয়েছে। বর্তমানে দেশের খেলছে মুকেশ।”
[আরও পড়ুন: ফেরান্দোর উপর চাপ বাড়ালেন পায়ের চোটে নাজেহাল দিমিত্রি! কবে মাঠে নামবেন সবুজ-মেরুনের স্ট্রাইকার?]
Source: Sangbad Pratidin