গোবিন্দ রায়: প্রাথমিক নিয়োগ মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকায় ফের অসন্তুষ্ট কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইডি এবং সিবিআই কাজের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। ছোট-বড় নেতাদের কাছে নিয়োগ দুর্নীতি অজানা ছিল, তা হতে পারে না বলেই পর্যবেক্ষণ বিচারপতির।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির শুনানিতে শুক্রবার সিবিআইয়ের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, “কতগুলি চার্জশিট ফাইল করা হয়েছে?” সিবিআইয়ের সিটের প্রধান অশ্বিন শেনভি উত্তরে জানান, “একটি ফাইল করা হয়েছে। আরেকটা করা হবে।” বিচারপতির পালটা প্রশ্ন, “ওই চার্জশিটে কাদের নাম রয়েছে? ইডির সঙ্গে কোনও সমন্বয় করেছিলেন? আমার কাছে খবর আছে আপনি ইডির সঙ্গে কম যোগাযোগ করেছেন। সব অভিযুক্তের নাম চার্জশিটে নেই। আজকের মধ্যেই ইডির অফিসারদের সঙ্গে কথা বলুন। আশা করি আরও অনেক তথ্য পাবেন। না হলে এমন প্রতিষ্ঠিত দুর্নীতির তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমি চাই না এটাও আরেকটা সারদা মামলা হয়ে যাক। আমি চাই দ্রুত ট্রায়াল শুরু হোক।”
[আরও পড়ুন: টেলিফোন বুথ থেকে ৭ কলেজের মালিক, রকেট গতিতে উত্থান ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুলের]
চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “চার্জ ফ্রেম করা না গেলে, ট্রায়াল শুরু করা যাবে না।” এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বেশ খানিকটা হুঁশিয়ারির সুরেই বলেন, “পরবর্তী শুনানিতে আমি দেখব ট্রায়াল নিয়ে কী পদক্ষেপ করেছে সিবিআই। বেআইনি চাকরির বিশাল অঙ্কের টাকা নানা হাতে গিয়েছে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ সামনে আসছে।” বিস্ময়ের সুরে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “আমি অবাক, এত বড় দুর্নীতির কথা কেউ জানত না বলা হচ্ছে। পুলিশ, আইবি, ফুল বা হাফ রাজনৈতিক নেতারা জানত না এটা হতে পারে না।” আগামী ২১ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
[আরও পড়ুন: ধর্ষণে অভিযুক্তের স্ত্রী-ই মামলার সাক্ষী! ‘তদন্তের নামে প্রতারণা’, পুলিশকে ভর্ৎসনা হাই কোর্টের]
Source: Sangbad Pratidin