ভারত: ১৭৪/৯ (রিঙ্কু ৪৬, জিতেশ ৩৫, যশস্বী ৩৭, ঋতুরাজ ৩২, বেন ডউরসিহুস ৩/৪০)
অস্ট্রেলিয়া: ১৫৪/৭ (অক্ষর ৩/১৬, রবি বিষ্ণোই ১/১৭, দীপক ২/৪৪)
ভারত ২০ রানে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওরা সবাই ‘বিগ ব্যাশ’ লিগে অনায়াসে চার-ছক্কা মারেন। ফলে অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার (Australia) সিরিজে সমতা ফেরানো শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে সেটা হল না। অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel) ও রবি বিষ্ণোইয়ের (Ravi Bishnoi) দাপটে ৭ উইকেটে ১৫৪ রানে আটকে গেল সদ্য বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া। দুই স্পিনার মোট ৮ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। আর সেখানেই ঘুরে যায় ম্যাচ। আর ২০ রানে জয়ের সৌজন্যে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল সূর্য কুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) টিম ইন্ডিয়া (Team India)। এই জয়ের পর আপাতত চলতি সিরিজে ভারত ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে রইল।
বিশ্বকাপের ফাইনালের মতো এবার ভারতের বোলারদের বিরুদ্ধে ঝড় তুলতে শুরু করেছিলেন ট্রাভিস হেড (Travis Head)। অন্যদিকে আর এক ওপেনার জশ ফিলিপকে ফিরিয়ে অজিদের প্রথম ধাক্কা দেন রবি বিষ্ণোই। ৪০ রানে ১ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এর পর শুরু হল অক্ষরের স্পিন ম্যাজিক। ফর্মে থাকা ট্রাভিস হেডকে আউট করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ব্যক্তিগত ১৬ বলে ৩১ রানে ফিরে যান তিনি। ৪৪ রানে ২ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এর পরেও অবশ্য থেমে থাকেননি অক্ষর। বেন ম্যাকডরম্যাটের পর অ্যারন হার্ডলিকেও ফেরান তিনি। ফলে ৮৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে যায় অজিরা।
দুই স্পিনারের স্পেল শেষ হয়ে গেলে, অজি ব্যাটাররা মুকেশ কুমার ও দীপক চাহারকে অ্যাটাক করতে শুরু করেন। তবে বড় বিপদ আসার আগেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা টিম ডেভিডকে (২০ বলে ১৯) রানে করে দেন দীপক চাহার। ১০৭ রানে অজিদের ৫ উইকেট চলে যায়। টিম ডেভিডের মতো আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করছিলেন ম্যাথু শর্ট (১৯ বলে ২২)। তাঁকেও আউট করে দেন এর আগে শেষবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই পেসার। বিপক্ষের অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড (২৩ বলে ৩৬*) লড়াই করলেও লাভ হল না।
দুরন্ত শুরুর পরে লেগেছিল পরপর ধাক্কা। যদিও সেই আঘাত সামলে পাল্টা লড়াইয়ে লড়াকু স্কোর খাড়া করেছিল ভারত। ১১১ রানে ৪ উইকেট হারালেও, পঞ্চম উইকেটে রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) ও জিতেশ শর্মার (Jitesh Sharma) ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে ১৭৪ রান খাড়া করে দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন: রোহিত-বিরাটকে কোন বড় দায়িত্ব নেওয়ার বার্তা দিলেন এবি ডিভিলিয়ার্স?
যশস্বী জসওয়াল (Yashasvi Jaiswal) ২৮ বলে ৩৭ রানের ঝোড়ো শুরু করলেও ইনিংসের মাঝপর্বে অজি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেংথে বোলিং ও অভিজ্ঞ ব্যাটারদের বাজে শটের খেশারতে পরপর উইকেট খুইয়ে বসেছিল ভারত। কিছুটা চাপের পরিস্থিতি তৈরি হলেও সেটা শেষপর্যন্ত সামলে দিতে সক্ষম হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। যশস্বী ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই দলে ফেরা শ্রেয়স আইয়ার (৮), সূর্যকুমার যাদব (১) সাজঘরে ফিরে যান। তারপর রিঙ্কুকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস টানতে শুরু করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad)। গত ম্যাচে শতরানকারী এদিন করলেন ২৮ বলে ৩২ রান।
৪৮ রানের পার্টনারশিপ ভাঙলেও লড়াই জারি রাখেন রিঙ্কু। ৪ টি চার ও ২ টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। দলে সুযোগ পেয়ে ঝোড়ো ইনিংস খেলে ভারতের ইনিংসকে আরও শক্তপোক্ত জায়গায় নিয়ে যান জিতেশ। ১ বাউন্ডারি ও ৩ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। তবে শেষ দিকে আর সেভাবে বড় রান না হাঁকাতে পারলেও শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৭৪ রানে আটকে যায় ভারত। বেন ডউরসিহুস ৪০ রানে ৩ ও জেসন বেহরেনডর্ফ ৩২ রানে ২ উইকেট নেন।
তবে ভারতকে ১৭৪ রানে আটকে রেখে লাভ হয়নি। কারণ অজিদের বিরুদ্ধে স্পিন ম্যাজিক দেখান অক্ষর ও রবি বিষ্ণোই। তাঁদের যোগ্য সঙ্গত দেন মুকেশ কুমার, দীপক চাহাররা। ফলে সিরিজ জিতে গেল ভারত। আর এই জয়ের ফলে সিরিজের শেষ ম্যাচ হয়ে গেল নিয়মরক্ষার। রবিবার, ৩ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত হবে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
আরও পড়ুন: আইপিএলের সূচির মাঝে বড় বাধা নির্বাচন কমিশন, কবে শুরু হবে ক্রোড়পতি লিগ?
Source: Sangbad Pratidin