অর্ণব আইচ ও রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ। এবার বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের হল এফআইআর। নাম রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী, শংকর ঘোষ, মনোজ টিগ্গা-সহ গেরুয়া শিবিরের ১২ জন বিধায়কের। যদিও তাঁদের দাবি, তৃণমূলের ধরনায় জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছে তাঁরা শুনতেই পাননি। আর তৃণমূলের কথায়, বিজেপির এহেন আচরণকে ধিক্কার জানাই। আইন আইনের পথে চলবে।
বুধবার বিকেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। বি আর আম্বেদকরের মূর্তির নিচে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি চলছিল। ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে অমিত শাহের সভা শেষ হতেই শুভেন্দু-সহ বিজেপির অন্য বিধায়করা বিধানসভায় হাজির হন। তৃণমূলের ধরনার অদূরে গাড়ি বারান্দার নিচে পালটা ধরনা শুরু করেন তাঁরা। ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে তৃণমূলের কর্মসূচির ধরনার শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন বিজেপি স্লোগান দিতে থাকে। এর পরই তৃণমূল জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: ফের জামুরিয়ায় শুটআউট, টোটো পার্কিং নিয়ে বিবাদে চলল গুলি]
গতকালই লিখিতভাবে স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিন তৃণমূল বিধায়ক। এর পরই বিধানসভায় সেন্ট্রাল ডিসিকে ডেকে পাঠান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, অভিযোগপত্র তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন হেয়ার স্ট্রিট থানায় FIR দায়ের হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের দাবি, “গতকাল তৃণমূলের অবস্থানে জাতীয় সংগীত হচ্ছিল এমন শোনেননি।” একইসঙ্গে এনিয়ে মুখ্যন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন তিনি। যদিও বিজেপির দাবিকে আমল দিতে রাজি নন স্পিকার। তাঁর কথায়, “কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওরা শুনতে পেয়েছে না পায় নি, আমার কিছু বলার নেই। প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” একই সুর শোনা গিয়েছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের গলাতেও। বিজেপির আচরণকে ধিক্কার জানিয়ে তাঁর দাবি, “আইন আইনের পথে চলবে।”
[আরও পড়ুন: সন্তান নিজের নয়! সন্দেহের বশেই আটমাসের শিশুকে ‘খুন’ বাবার]
Source: Sangbad Pratidin