ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: শরীরের বাঁ দিকে ফের অসাড়তা অনুভব করছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কেন এমন হচ্ছে তা পরীক্ষা করে দেখতে চাইছেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি হাই-সুগারের সমস্যা রয়েছে তাঁর। ভর্তির পর থেকে এসএসকেএমের কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনেই রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর চিকিৎসার জন্য স্নায়ু রোগ, এন্ডোক্রিনোলজি, মেডিসিন, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি, কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে তাঁর মস্তিষ্ক ও শিরদাঁড়ার এমআরআই করা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা বেড়ে যায় মন্ত্রীর। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাঁকে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: অফিস টাইমে মেট্রোয় আত্মহত্যা! ব্যাহত পরিষেবা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা]
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর মাঝরাতে রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রথমবার আদালতে পেশ করার সময়েও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই সময় তাঁকে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পর ইডি হেফাজতে ছিলেন মন্ত্রী। আদালতে পেশের সময় একাধিকবার নিজেকে অসুস্থ বলে দাবি করেন। তাঁর বাম হাত ও পা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে বলেও জানান। এমনকী মৃত্যুর আশঙ্কাও করেছিলেন মন্ত্রী। গত ১৬ নভেম্বর, আদালতে সশরীরে হাজিরাও দিতে পারেননি জ্যোতিপ্রিয়।
শারীরিক অসুস্থতায় ভারচুয়ালি শুনানিতে অংশ নেন। জেলবন্দি মন্ত্রীর রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যন্ত বেশি বলেই দাবি করেন তাঁর আইনজীবীরা। হাসপাতালে ভর্তির আর্জি জানিয়েছিলেন মন্ত্রী। যদিও তাঁর আর্জি খারিজ হয়ে যায়। তার ঠিক পরদিনই জেলে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হয় জ্যোতিপ্রিয়র। জেলেই তাঁকে অক্সিজেনও দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: খুন হয়েছিলেন বাবা, এনকাউন্টার হয় কাকার! যাদব পরিবারের পরতে পরতে লুকিয়ে রহস্য]
Source: Sangbad Pratidin