নিরুফা খাতুন: হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস সত্যি করে বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে। ক্রমশ এটি ধেয়ে আসছে ওড়িশা ও বাংলা উপকূলের দিকে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এর অবস্থান দিঘা থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উপকূলের জেলাগুলোতে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ১৭ ই নভেম্বর এই নিম্নচাপ ভুবনেশ্বর ও বালাসোরের মাঝামাঝি পারাদ্বীপের উপকূলের কাছাকাছি এসে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর পর উপকূল বরাবর উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অর্থাৎ বাংলাদেশের দিকে এগোবে। শুক্রবার রাত অথবা শনিবার খুব সকালের দিকে এটি বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় এটি স্থলভাগে প্রবেশ করার সম্ভাবনা প্রবল। খেপু পাড়া ও মংলার মাঝামাঝি এটি স্থলভাগে প্রবেশ করার সময় এর গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টা ৮০-৮৫ কিলোমিটার। যার প্রভাবে বাংলায় দিনভর মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা। শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। শনিবার পর্যন্ত চলবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।
[আরও পড়ুন: ‘সামলে থেকো গুরু’, শুভেন্দুগড়ে দাঁড়িয়ে অভিষেককে হারানোর চ্যালেঞ্জ নওশাদের]
শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলার কিছু অংশে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে। শনিবার বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এদিকে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শুক্রবার ও শনিবার মৎস্যজীবীদের উত্তর বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: জয়নগরের পর আমডাঙা, বোমা হামলায় মৃত্যু তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের]
Source: Sangbad Pratidin