দিপালী সেন: উপাচার্য নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা চলছে বাংলায়। এরই মাঝে উপাচার্য নিয়োগে অর্ডিন্যান্স জারি করল রাজ্য। সার্চ কমিটিতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি। তবে থাকবে না বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও প্রতিনিধি। এই অর্ডিন্যান্স নিয়ে তৈরি বিতর্ক।
আগেই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বিধিতে সংশোধনী এনে অর্ডিন্যান্স জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। গত ১৭ এপ্রিল স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সংশোধিত নিয়ম অর্ডিন্যান্স হিসাবে জারি করায় অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এরপর সেটি অর্ডিন্যান্স হিসেবে জারির জন্য পাঠানো হয়েছিল রাজ্যপালের কাছে। সূত্রের খবর, প্রায় এক মাসের কাছাকাছি সেটি রাজভবনে পড়ে থাকার পর অবশেষে তাতে রাজ্যপাল সই করেন। ফলে, রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠনের যাবতীয় বাধা কেটে যায়। নয়া নিয়মে পুনর্গঠন করা হয় উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিকে। তিন সদস্যের পরিবর্তে পাঁচজন সদস্য রাখা হয়। ফিরিয়ে আনা হয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিনিধিকেও। সঙ্গে থাকবেন রাজ্যপাল তথা আচার্য, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট বা কোর্ট, উচ্চশিক্ষা দপ্তর এবং উচ্চশিক্ষা সংসদের একজন করে প্রতিনিধি। সোমবার অর্ডিন্যান্স জারি হতেই দেখা গেল, সার্চ কমিটিতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীর এক প্রতিনিধিও।
[আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে দিলীপের দলিল উদ্ধার নিয়ে বিস্ফোরক ধৃত প্রসন্ন, কী বললেন পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মিডলম্যান?]
প্রসঙ্গত, রাজ্যের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। যাঁদের অধিকাংশেরই মেয়াদ শেষ হতে চলেছে আগামী ৩১ মে। এদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য আশিস চট্টোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই। উপাচার্য পদে তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি না হওয়ায় বর্তমানে উপাচার্যহীন হয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
[আরও পড়ুন: কলকাতা সফরে এসে দক্ষিণেশ্বরে সস্ত্রীক পুজো দিলেন মরিশাসের রাষ্ট্রপতি, গেলেন বেলুড়েও]
Source: Sangbad Pratidin