সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুস্থ সবল মানুষ যে কাজ করতে ভয় পান, তা করে দেখালেন পাঞ্জাবের (Punjab) যুবক ভগবান সিং মোগা (Bhagwan Singh Moga)। ভগবানের দু’টি পা-ই নেই। তবু বাধা হতে পারেনি তাঁর পাহাড় চড়ে তীর্থ করার শখ। ১৫ হাজার ফুট উচ্চতা ছুঁয়ে ফেললেন তিনি। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) হেমকুণ্ডে (Hamkunda) পৌঁছে তাক লাগিয়ে দিলেন সকলকে।
ভগবান লুধিয়ানার (Ludhiana) বাসিন্দা। আর পাঁচজনের মতোই সুস্থ স্বাভাবিক ছিলেন এক সময়। কিন্তু বছর দশেক আগে ট্রেন দুর্ঘটনায় বদলে যায় জীবন। প্রাণে বাঁচলেও খোয়া যায় দুই পা। যদিও অন্যদের মতো মনের শক্তি হারাননি ভগবান। অসহায় বোধ করেননি। নতুন কঠিন জীবনকে গ্রহণ করেছেন। তবে পাহাড় চড়ার ইচ্ছে জেনে বউ ও পরিবারের অন্য সদস্যরা বেঁকে বসেছিলেন। তাঁরা একা ছাড়তে চাননি ভগবানকে। যদিও তিনি জেদ ধরেন, ১৫ হাজার ফুট উচ্চতার গন্তব্য হেমকুণ্ডে একাই যাবেন।
Hemkund Yatra इसे भक्ति कहें या हौसला, पंजाब निवासी भगवान सिंह सबके लिए नजीर बन गए हैं। वह हाथों के सहारे 15 हजार फीट की ऊंचाई पर स्थित हेमकुंड पहुंच गए। देखें वीडियो#HemkundYatra, #UttarakhandNews pic.twitter.com/U7hduy9a56
— Sunil Negi (@negi0010) July 24, 2022
[আরও পড়ুন: মাছ ধরতে গিয়ে জ্যাকপট! জালে উঠে এল ২৮ কোটির ‘সম্পদ’]
বাস্তবে সেই কাজ করে দেখালেন যুবক। গত ১৯ জুলাই হেমকুণ্ডের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। শনিবার পৌঁছান হেমকুণ্ড তীর্থের শীর্ষস্থানে। খাতায় কলমে যার উচ্চতা ১৫ হাজার ২২৫ ফুট। রবিবার সুনীল নেগি নামের এক ব্যক্তি টুইটারে ভগবানের পাহাড় চড়ার ভিডিও টুইট করেন। যা ভাইরাল হয়। যা দেখে যুবকের আত্মবিশ্বাসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই। নেটিজেনদের বক্তব্য, সুস্থ সবল মানুষেরও এতখানি মনের জোর নেই, যা করে দেখালেন লুধিয়ানার ভগবান। আর ভগবান নিজে জানিয়েছেন, গোটা সফর তাঁর কখনও মনে হয়নি যে, তাঁর পা নেই। বলেন, “মনের শক্তি আর আত্মবিশ্বাসই আমাকে এত দূর টেনে নিয়ে এসেছে।”
[আরও পড়ুন: মাছ ধরতে গিয়ে জ্যাকপট! জালে উঠে এল ২৮ কোটির ‘সম্পদ’]
উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডের ‘হেমকুণ্ড সাহিব’ বিখ্যাত তীর্থস্থান। সেখানে পৌঁছানো শারীরিক ভাবে অক্ষম প্রথম ব্যক্তি লুধিয়ানার ভগবান সিং মোগা বটে। তবে এর আগে ৯৭ বছরের এক বৃদ্ধা পায়ে হেঁটে ১৫ হাজার ফুট উচ্চতার তীর্থস্থলে পৌঁছে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
Source: Sangbad Pratidin