সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘যুদ্ধ করে করবি কী তা বল?’ সত্যজিৎ রায়ের ‘গুগাবাবা’র এই গানের কথা আজও অব্যর্থ হয়ে লেগে রয়েছে সভ্যতার হৃদয়ে। সারা পৃথিবীতেই যুদ্ধবিরোধী শিল্প কিংবা স্লোগানের অভাব নেই। কিন্তু যুদ্ধবাজরা তাতে কান দেয়নি। এই মুহূর্তে একদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের লড়াইয়ের পাশাপাশি বিশ্ববাসীকে আশঙ্কায় রেখেছে হামাস-ইজরায়েল (Hamas-Israel) সংঘর্ষ। সেই যুদ্ধের অসংখ্য করুণ ছবি রোজই প্রকাশ্যে আসছে। এবার ইজরায়েলের এক মন্ত্রীকে দেখা গেল সদ্যপ্রয়াত ছেলের মৃত্যুতে কাঁদতে। সেই কান্নার ছবি নতুন করে বুঝিয়ে দিল যুদ্ধের বিষ কখন কাকে কীভাবে ধ্বংস করে দেবে তা সত্যিই অজানা।
২৫ বছরের গাল ইসেনকোত ছিলেন ইজরায়েলের মন্ত্রী গাদি ইসেনকোতের ছেলে। তিনি একজন কমান্ডো। অংশ নিয়েছিলেন গাজা ভূখণ্ডে হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয় বোমার আঘাতে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। এদিকে গাদি, যিনি এর আগে আইডিএফের প্রধানের পদেও ছিলেন, তিনি আইডিএফের সাউদার্ন কমান্ড সেন্টারে থাকার সময়ই আচমকা দুঃসংবাদটি পান।
[আরও পড়ুন: অকালবৃষ্টি ‘ভিলেন’! হু হু করে আলুর দাম বাড়ার আশঙ্কা]
পরে শুক্রবার ছেলের শেষকৃত্যের সময় কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে নিজেকে সামলে রাখলেও ছেলের স্মৃতিচারণ করার সময় আর চোখের জলে বাঁধ দিয়ে রাখতে পারেননি তিনি। যা দেখে ইজরায়েলের আর এক মন্ত্রী বেনি গান্টজ টেলিভিশনে বলেন, ”মানচিত্রের তির কখন যে প্রিয় পরিবারের হৃদয়ে তির হয়ে বিঁধে যায়।”
গাদি জানিয়েছেন, তিনি সেনাবাহিনীতে থাকায় ছেলে তাঁকে বেশি পায়নি। বরং মায়ের সংস্পর্শেই দিন কাটত পুত্রের। পরে গাল যোগ দেন সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা শাখায়। এবং প্রথম থেকেই পিতৃপরিচয় নয়, নিজের যোগ্যতাতেই এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। কিন্তু মাত্র ২৫ বছর বয়সেই সব শেষ হয়ে গেল তাঁর। সন্তানহারা পিতার চোখের জল প্রমাণ করে দিল, যুদ্ধে কোনও পক্ষই নিরাপদ নয়। এই দুমুখী তরবারি কখন কার বুকে গিঁথে যাবে তা সকলেরই অজানা।
[আরও পড়ুন: কাতারে বন্দি প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি ভারতীয় দূতের, মোদি বৈঠকেই সুফল?]
Source: Sangbad Pratidin