সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিচে অত্যাধিক কারিকুরি করার জেরেই ভারতকে হারতে হয়েছে, বিশ্বকাপ ফাইনালের (ICC World Cup 2023) পরই নানা মহলে এই প্রশ্ন উঠেছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন, ফাইনালের জন্য মন্থর পিচ বানানো হয়েছিল বলেই রান তুলতে পারেনি দুই দল। এহেন বিতর্কের মধ্যেই বিশ্বকাপে ব্যবহৃত পিচের রেটিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। শুধু ফাইনাল নয়, গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে নক আউট- বিশ্বকাপের ১০টি মাঠ নিয়েই মুখ খুলেছে আইসিসি (ICC)।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলতে সারা দেশেই ঘুরতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। তার মধ্যে রয়েছে লখনউ, চেন্নাইয়ের মতো মাঠ। যথাক্রমে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই দুই মাঠে খেলেছেন রোহিত শর্মারা। দুই মাঠকেই ‘অ্যাভারেজ’ রেটিং দিয়েছে আইসিসি। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলেছিল ভারত। অ্যাভারেজ রেটিং পেয়েছে সেই ম্যাচের পিচও। ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ভারতের ম্যাচের পিচকেও অ্যাভারেজ বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ইতিহাসে প্রথমবার অবনমনে পেলের স্যান্টোস, গাড়িতে আগুন ক্ষুব্ধ সমর্থকদের]
বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল শুরুর আগে পিচ বিতর্কে উত্তাল হয়েছিল গোটা ক্রিকেটদুনিয়া। ইচ্ছা করে ব্যবহৃত পিচেই ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে বলে দাবি করেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত পুরনো পিচেই খেলা হয় প্রথম সেমিফাইনাল। নিউজিল্যান্ডকে হারায় ভারত। সেই পিচকে অবশ্য ‘গুড’ রেটিং দিয়েছে আইসিসি। যদিও ইডেনে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পিচেও জুটেছে অ্যাভারেজ তকমা।
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার খেতাবি লড়াইয়েও ব্যবহার করা হয়েছিল পুরনো পিচ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে পিচে খেলেছিল ভারত, সেই পিচেই খেলা হয় ফাইনাল। মাত্র ২৪০ রানে আটকে যায় মেন ইন ব্লু। হেলায় ভারতকে হারিয়ে কাপ জেতে অজিরা। ফাইনালের সেই পিচকেও অ্যাভারেজ বলেই ঘোষণা করেছে আইসিসি। উল্লেখ্য ফাইনালের পরেই রিকি পন্টিং, মাইকেল ভনের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা সাফ বলেন, পিচ নিয়ে অত্যধিক পরীক্ষানিরীক্ষার মাশুল দিতে হয়েছে ভারতকে।
[আরও পড়ুন: চূড়ান্ত কোপা আমেরিকার গ্রুপ বিন্যাস, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার গ্রুপে কারা?]
Source: Sangbad Pratidin