সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় নবনির্মিত রাম মন্দিরের (Ram Temple) উদ্বোধন। রামজন্মভূমিতে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার পর ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির মথুরার (Mathura) কৃষ্ণ জন্মভূমিকেও নির্বাচনী অস্ত্র করতে পারে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমি ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টি সভাপতি অখিলেশ যাদবকে নিশানা করেছেন। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিষয়টি আবার জনসমক্ষে আলোচনায় এসেছে।
বিজেপির তরফে অবশ্য বলা হচ্ছে যে, লোকসভা নির্বাচনের আগে ইস্যুটি তাদের অ্যাজেন্ডায় নেই। দলের কয়েকজন নেতা বলছেন, সাধারণ নির্বাচনের পরে কৃষ্ণ জন্মভূমিতে একটি মন্দির নির্মাণের দাবিতে ব্যাপক প্রচারে নামতে পারে বিজেপি (BJP)। কারণ, ইস্যুটি তাদের নীতির সঙ্গে খাপ খায়। দলের কর্মীরা এটি চাইছে। হিন্দু দক্ষিণপন্থীদের জন্য, মথুরা এবং বারাণসীতে মন্দির বিরোধ (কাশী নামেও পরিচিত) একটি বৃহত্তর আদর্শগত ইস্যু,– স্লোগানে ওঠে, “অযোধ্যা তো বাস জানকি হ্যায়, কাশী, মথুরা বাকি হ্যায় (অযোধ্যা শুধু এক আভাস, কাশী এবং মথুরা এখনও আসা বাকি)।”
[আরও পড়ুন: হায়দরাবাদে ‘মিশন লোটাস’? অভিজাত হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের লাক্সারি বাস]
বিজেপির ফৈজাবাদের সাংসদ লালু সিং, যাঁর নির্বাচনী এলাকার মধ্যে অযোধ্যাও পড়ে, বলেছেন, ইস্যুটি দলের সরকারি অ্যাজেন্ডায় ছিল না। তবে দলের অবস্থান হল আমাদের এখনই এটার জন্য চাপ দেওয়া উচিত নয়। তবে সমাজের দাবি থাকবে। সে কারণেই নেতারা এটি সম্পর্কে কথা বলছেন।”
[আরও পড়ুন: ‘সনাতন ধর্মের অবমাননা করলে ফল ভুগতে হবেই’, BJP-র সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ভেঙ্কটেশ প্রসাদ]
তবে বিজেপিরই আরেকটি অংশ মনে করছে মথুরা কৃষ্ণ জন্মভূমি ‘গেম-চেঞ্জার’ হতে পারে। তার ব্যাখ্যা করে, উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা এসপি-র মুসলিম-যাদব মূল সমর্থন ভিত্তির উপর এর সম্ভাব্য প্রভাবের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, “এটি পার্টির অফিসিয়াল লাইন নয় তবে এটি ক্যাডারদের আবেগের সঙ্গে সম্পর্কিত।” অর্থাৎ, রাজনৈতিক মহল মনে করছে ক্যাডারদের ভাবাবেগের নামে লোকসভা ভোটে পরোক্ষে মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি ইস্যু জিইয়ে তুলবে বিজেপি। আর কেশব প্রসাদ সেই কাজটি শুরু করে দিলেন।
Source: Sangbad Pratidin