ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্য়োপাধ্যায়: বছর শেষে একের পর বিগ বাজেট বলিউড ছবির মুক্তির কারণে পিছিয়ে গেল পরিচালক ও অভিনেতা ব্রাত্য বসুর নতুন ছবি ‘হুব্বা’র রিলিজ। মঙ্গলবার ব্রাত্য বসু নিজেই জানালেন সেকথা। ব্রাত্য বসুর কথায়, ”গতবছর ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল হুব্বার। কিন্তু তখনও মুক্তি পিছিয়ে ছিল। আর এবারের ডিসেম্বরে রণবীর কাপুরের অ্যানিম্যাল, শাহরুখের ডাঙ্কি এবং দক্ষিণী নায়ক প্রভাসের সালার ছবির মুক্তি কারণেই হুব্বা ছবির মুক্তি পিছতে হল। কারণ, প্রযোজক চান না, এই হেভিওয়েট ছবির সঙ্গে বক্স অফিসে লড়াইয়ে আসুক হুব্বা। সিনেমা হলে শো পাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।” পরিচালকের কথায়, ”ছবির ব্যবসার কথা মাথায় রেখেই ১৯ জানুয়ারি হুব্বা রিলিজের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।”
তবে শুধু ব্রাত্যর ছবি নয়, ‘ডাঙ্কি’ ও ‘সালার’ ছবির কারণে পিছিয়ে গিয়েছে পরিচালক শ্রীরাম রাঘবনের মেরি ক্রিসমাস ছবি। এই ছবিতে জুটি বেঁধেছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও বিজয় সেতুপতি। ব্রাত্য বসু জানালেন, ”আমি শ্রীরাম রাঘবনের সিনেমার ভক্ত। ওর সিনেমা মেরি ক্রিসমাস আসার কথা ছিল ডিসেম্বরে। সেটাও পিছিয়ে গিয়েছে। দেখার ইচ্ছে রয়েছে এই ছবি।”
[আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই কত টাকা আয় করল ‘অ্যানিম্যাল’? বক্স অফিস কাঁপাতে তৈরি রণবীর]
নয়ের দশকের শেষভাগে হুগলি জেলায় গ্যাংস্টার হুব্বার উত্থান। অন্ধকার জগতের একচ্ছত্র অধিপতি বলেই পরিচিত ছিল সে। তার শিহরন জাগানো জীবনপথ উঠে আসবে ‘হুব্বা’ ছবিতে। খুন, অপহরণ, ড্রাগ পাচার ইত্যাদি নানা মামলা চলেছিল তার বিরুদ্ধে। কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়েও একসময় জামিন পেয়ে যায় ঘটনাচক্রে। ২০০৫ সালে সল্টলেক থেকে গ্রেপ্তার হয় সে পুলিশের হাতে। সেই রোমহর্ষক ঘটনার সংবাদ আজও অনেক মানুষের মনে আছে। একসময় বহুদিন নিখোঁজ ছিল এই গ্যাংস্টার, শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালে বৈদ্যবাটির খালে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই প্রতিপত্তিশালী ডনের জীবনকাহিনি ঘিরে ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন ব্রাত্য বসু ও সুপ্রতিম সরকার মিলে, ‘আবার গোয়েন্দাপীঠ’ অবলম্বনে।
বাঙালি গ্যাংস্টারের নির্মমতা এবং কৌতুক দুটোই আছে। নগরজীবনের সমান্তরালে শহরতলির অন্ধকার দিক ছুটে চলেছে, সেটাই উঠে আসবে এই ছবিতে। ছবির ক্যামেরার দায়িত্বে সৌমিক হালদার। কলকাতার আশপাশ, দমদম, রাজারহাট এবং হুগলির নানা জায়গায় ছবিটির শুটিং হয়েছে। এই ছবিতে মূলচরিত্রে রয়েছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট অভিনেতা মোশাররফ করিম। পুলিশের চরিত্রে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। যিনি আইপিএস অফিসার ‘দিবাকর মিত্র’-র ভূমিকায়। তাঁর স্ত্রী ‘বিনীতা’র রোলে পৌলোমী বসু। অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন লোকনাথ দে।
[আরও পড়ুন: পরমব্রতর বিয়েতে পাননি নিমন্ত্রণ, বন্ধুর নতুন জীবন নিয়ে কী বার্তা রুদ্রনীলের? ]
Source: Sangbad Pratidin