সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট ‘ধ্রুবসত্য’ নয়। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবিকে সন্দেহের চোখে দেখার কোনও কারণ নেই। শুক্রবার এমনটাই বলল সুপ্রিম কোর্ট। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি অভিযোগে তদন্ত করছে সেবি। সেই সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের মন্তব্য, তদন্তকারী সংস্থাগুলোর উপর আস্থা রাখতে হবে।
চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে নিউ ইয়র্কের হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। ১০০ পাতার ওই রিপোর্ট ঘিরে রীতিমতো ঝড় ওঠে জাতীয় রাজনীতিতে। শুধু তাই নয়, শুরু হয় আদানিদের রক্তক্ষরণ! শেয়ার বাজারে জোর ধাক্কা খায় শিল্পগোষ্ঠীটি। সরব হয়েছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলো। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) নীরব থাকায় কটাক্ষ করে রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, গোটাটাই ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। একই সুর শোনা যায় আদানিদের গলাতেও।
[আরও পড়ুন: রাজস্থানে শুরু ভোটগ্রহণ, এবার পদ্মঝড়? না কি প্রথা ভেঙে ফিরবে কংগ্রেসই]
এদিকে, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পরই শেয়ারের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়ানো ও বেআইনি লেনদেনের মতো অভিযোগে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সেবি। তবে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে না পারায় আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেবি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। শুক্রবার এই সমস্ত মামলারই শুনানি ছিল। যার রায়দান স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। রাতারাতি ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকা থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন গৌতম আদানি। হু হু করে কমতে শুরু করেছিল তাঁর সম্পদের পরিমাণ। এই ঘটনায় আদানির দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যে। ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই ওই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: শেষ পর্যায়ে হঠাৎ বিপত্তি! উত্তরকাশীতে ফের থমকে গেল উদ্ধারকাজ, উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী]
Source: Sangbad Pratidin