সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পর জয়নগরের দলুয়াখাঁকি গ্রামে ত্রাণ পৌঁছে দিল SFI এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। রাজনৈতিক হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের কাছে খাবারদাবার এবং বইখাতা তুলে দেন। গ্রামবাসীদের দাবি, থমথমে দলুয়াখাঁকিতে যেন নতুন করে বাঁচার অক্সিজেন পাচ্ছেন তাঁরা।
দলুয়াখাঁকি গ্রামে বামেরা ত্রাণ বিলি করতে পারবে বলেই সোমবার নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মঙ্গলবার ত্রাণসামগ্রী ও পড়ুয়াদের জন্য বইখাতা নিয়ে গ্রামে ঢোকে SFI। বামফ্রন্টের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি প্রতীকুর রহমানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন ওই গ্রামে পৌঁছন। এরপর পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদেরকে। পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। শর্তসাপেক্ষে মোট পাঁচজনকে গ্রামে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর এসএফআই নেতৃত্বরা গ্রামের জন্য বইখাতা নিয়ে যায়। গ্রামের শিশুদের হাতে বইখাতা তুলে দেওয়া হয়। নতুন বই খাতা পেয়ে আনন্দিত খুদে পড়ুয়ারা। নবম শ্রেণির ছাত্রী রাখিবা লস্কর জানায়, “আমাদের ঘরবাড়ি সব পুড়িয়ে দিয়েছে। বইখাতা বলতে কিছু নেই। ১ ডিসেম্বর থেকে আমাদের পরীক্ষা। কীভাবে পরীক্ষা দেব বুঝতে পারছি না। আজ দাদারা এসে আমাদেরকে বইখাতা দিয়ে সাহায্য করল।”
[আরও পড়ুন: অসুস্থ জ্যোতিপ্রিয়, জেল থেকে সোজা নিয়ে যাওয়া হল এসএসকেএমে]
দলুয়াখাঁকিতে যায় কংগ্রেস প্রতিনিধি দলও। তবে রাজনৈতিক হিংসায় থমথমে গ্রামের ভিতরে ঢোকেননি তাঁরা। জয়নগরের দক্ষিণ বারাসত বয়েজ স্কুলের সামনে গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের নিয়ে আসা হয়। তাঁদের হাতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ছিল কড়া পুলিশি প্রহরার বন্দোবস্ত ছিল। কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ জানান, “বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের নামে কাঁচকলা হচ্ছে। এখানে মানুষ অভুক্ত। অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কোনও হেলদোল নেই। আমরা এখানে রাজনীতি করতে আসিনি। মানুষের পাশে থাকতে এসেছি।”
[আরও পড়ুন: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনার মিডিয়া সম্প্রচারে রাশ কেন্দ্রের! ভোটমুখী সিদ্ধান্ত?]
Source: Sangbad Pratidin