স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা ও হাওড়া: ছটপুজো নিয়ে কলকাতা, হাওড়া-সহ রাজ্যের সমস্ত এলাকায় প্রশাসনিক প্রস্তুতি তুঙ্গে। এর মধ্যেই ছটপুজোয় পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে আরও একবার ময়দানে নামছে ‘অভিষেকের দূত’। বি গার্ডেন, রামকৃষ্ণপুর ঘাট, নমক গোলা ঘাট, বেলুড় জগন্নাথ ঘাট-সহ ১০০টির বেশি ঘাটে পুজো চলার সময় হাজির থাকবেন অভিষেকের দূতেরা। হাওড়ার নানা ঘাটে দলের তরফ থেকে এই কর্মসূচিতে দলের প্রতিনিধিরা থাকলেও, রাজ্যের আরও একাধিক এলাকায় দলের তরফ থেকে প্রতিনিধিরা থাকবেন। হাওড়ায় (Howrah) দলের এই দূতেদের নেতৃত্বে থাকবেন জেলা যুব সভাপতি কৈলাস মিশ্র। পুণ্যার্থীদের জন্য ঘাটে-ঘাটে বসানো হবে সাহায্য কেন্দ্রও।
আগে দুর্গাপুজোর সময় হাওড়া-সহ বেশ কিছু এলাকায় অভিষেকের দূত কাজ করেছে জরুরি পরিষেবার জন্যও। তার পর এবার ছটপুজোর সময়ও সেই কর্মসূচি নিয়ে নামছে অভিষেকের দূতেরা। অন্যদিকে, এবারও যথারীতি গঙ্গার ঘাটে পুজো দিতে গিয়ে পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার দিকে নজর দিয়েছে হাওড়া জেলা প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকেই হাওড়ার গঙ্গার ঘাটগুলিকে পরিষ্কারের কাজ শুরু করে হাওড়া পুরসভা। ঘাটগুলিতে যাতে কোনওভাবে দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না ঘটে সেজন্য হাওড়া সিটি পুলিশের বিভিন্ন থানা নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে। ঘাট থেকে গঙ্গার নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। বাঁশ ও দড়ি দিয়ে দুটি স্তরের ব্যারিকেড হয়েছে। প্রসঙ্গত, হাওড়া কমিশনারেট এলাকার ১৩৭টি ঘাটে ছটপুজোর জন্য প্রতি বছরের মতো এ বছরও লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। শনিবার বিকেল থেকেই অনেক পুণ্যার্থী পুজো দিতে গঙ্গার ঘাটগুলিতে জড়ো হতে শুরু করেন।
[আরও পড়ুন: জগদ্ধাত্রী পুজোয় বাড়ির আলো ঠিক করতে গিয়ে অঘটন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু স্কুলছাত্রের]
পুলিশ জানিয়েছে, ছটপুজোর জন্য শিবপুর ঘাট মেরামতের পাশাপাশি সমস্ত ঘাটে পর্যাপ্ত আলো দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। থাকছে পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্স বুথ। থাকছেন পদস্থ পুলিশ কর্তারা। সেই সঙ্গে থাকছে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি। ঘাটগুলিতে আরও সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। স্নান করতে নেমে দুর্ঘটনা ঘটলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লঞ্চ ও নৌকায় থাকছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ডুবুরিরা।
এই প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি হেড কোয়ার্টার অলকনন্দা ভাওয়াল বললেন, “যাঁরা ঘাটগুলিতে গাড়ি নিয়ে আসবেন তাঁদের জন্য সমাজমাধ্যমে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে একটা অ্যাপ দেওয়া হয়েছে। সেই অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করলে পার্কিংয়ের জন্য জায়গা বরাদ্দ করা হবে। এছাড়াও এই প্রথম কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ডুবুরিকেও রাখা হচ্ছে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তাঁদের কাজে লাগানো হবে।” এই পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শনিবার সকালেই হাওড়ার জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া, পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী-সহ হাওড়া সিটি পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা বিভিন্ন ঘাট পরিদর্শন করেন।
[আরও পড়ুন: পুলিশ সুপারের নকল ফেসবুক আইডি তৈরি করে প্রতারণায় আন্ত:রাজ্য যোগ, গ্রেপ্তার ২]
Source: Sangbad Pratidin