অর্ণব আইচ: খাস কলকাতায় (Kolkata Shoot Out) ভর সন্ধেয় চলল গুলি। শনিবার সন্ধেয় ভারতীয় জাদুঘরের দায়িত্ব থাকা সিআইএসএফের বারাকের আরমার ইনচার্জ অর্থাৎ অস্ত্রাগারের দায়িত্বে থাকা কর্তা এলোপাথারি গুলি ছোঁড়ে। তাঁকে আটকাতে গিয়ে মৃত্যু হয় সিআইএসএফের এএসআইয়ের। গুরুতর জখম আরও এক। এদিকে অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ানের (CISF Jawan) হদিশ এখনও মেলেনি। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত বারাকের ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তাণ্ডব চালাচ্ছে অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ান।
পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী,বারাকের আরমার ইনচার্জ সুবীর ঘোষ অস্ত্রভান্ডার থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল (AK-47 Rifle) তুলে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে। ২০-২৫ রাউন্ড গুলি চলে। তাকে বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন সহকর্মী এএসআই রঞ্জিন সরঙ্গী। জখম হন এক অ্যাসিট্যান্ট কমান্ডারও। দুজনকেই এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে রঞ্জিতকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অন্যজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
[আরও পড়ুন: জেলে কীভাবে একলা দিন কাটাবেন পার্থ? পরামর্শ দিলেন মদন মিত্র!]
বারাকের সামনে থাকা একটি পুলিশের গাড়ির সামনের কাঁচ ভেদ করে গুলি ঢুকে যায়। গাড়ির ভিতরে রয়েছে রক্তের দাগ। ফলে গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলেছে কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সাড়ে ছ’টা নাগাদ প্রথম গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। এরপর একাধিক গুলি চলেছে।
এদিকে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত অভিযুক্ত জওয়ানকে বাগে আনা যায়নি। মনে করা হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বারাকের ভিতরেই এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তার খোঁজে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বারাক চত্বরে ঢুকেছে অন্তত ২৫-৩০ জন সিআইএসএফ জওয়ান। রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী, কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল অ্যাকশন ফোর্স। এসেছে কমব্যাট ফোর্ট, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। চলছে মাইকিং। সাধারণ মানুষকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত বাহিনী ডাকা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসন থেকে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের ২ নম্বর ঘর, কেমন আছেন অর্পিতা?]
ইতিমধ্যে এসে পৌঁছছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে ঘটনাস্থলে ঢুকেছেন তিনি। ড্রাগন লাইট নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভিতরে। চলছে তল্লাশি। জাদুঘরের পাশেই রয়েছে বিধায়কদের হস্টেল। ফলে গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কিড স্ট্রিট। এখনও গুলি চলছে বলে খবর।
Source: Sangbad Pratidin