ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝে রাজ্যে চোখরাঙাচ্ছে ডেঙ্গু (Dengue)। কালীঘাটের বাসিন্দা স্কুলছাত্রের মৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ। মশাবাহিত রোগের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে তৎপর নবান্ন। রাজ্যের প্রত্যেকটি দপ্তর, জেলাশাসক ও স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। আগামী সাতদিনের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
মু্খ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী বলেছেন, “ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোনওরকম শৈথিল্য দেখালে চলবে না। সময় ধরে কাজ করতে হবে। আপাতত সাতদিনের মধ্যে জমা জল ও ময়লা পরিষ্কার করতে হবে।” পাশাপাশি বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারদের বলা হয়েছে, নিজের নিজের এলাকা পরিষ্কার রাখতে হবে। দল তৈরি করতে হবে। ওই দলে মাইক্রোবায়োলজিস্ট, কমিউনিটি মেডিসিন, ভেক্টর কন্ট্রোল বিশেষজ্ঞদের রাখতে হবে। নিজের নিজের এলাকায় জমা জল ও মশার আঁতুড়ঘর পরিষ্কার করতে হবে।” বৈঠকের পর রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা বলেছেন, “কলকাতায় একটি বালকের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। এই অবস্থায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণ বাড়ছে। তাই কোনওরকম শৈথিল্য দেখানো চলবে না। কড়া হাতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: প্রায় ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা বকেয়া রাজ্যের, মোদির সঙ্গে বৈঠকে প্রাপ্য হিসেব বুঝিয়ে দিলেন মমতা]
কলকাতায় ডেঙ্গু সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু সন্তুষ্টির কোনও জায়গা নেই। তাই ওয়ার্ডভিত্তিক অভিযান চালানোর নির্দেশ মুখ্যসচিবের। এছাড়া মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ডেঙ্গুর রক্তপরীক্ষার বন্দোবস্ত রাখতে হবে। সামান্য উপসর্গযুক্ত ব্যক্তির রক্তপরীক্ষা করতে হবে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের যাতে বিনা চিকিৎসায় ভুগতে না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
চিকিৎসকরা জানান, জ্বর, হাত-পায়ে যন্ত্রণা, পেটে ব্যথা এবং বমি বমি ভাব দেখা দিলেই সাবধান হতে হবে। আক্রান্ত হওয়ার ২-৫ দিনের মধ্যে লাল রংয়ের ফুসকুড়ি, রক্তচাপ ও প্লেটলেট কমে যায়। তাই সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। করাতে হবে রক্তপরীক্ষা। চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে না পারলে প্রাণহানির আশঙ্কাও থাকতে পারে।
[আরও পড়ুন: ‘উনি তো পর্যটক’, সিপিএমের পুরস্কার গ্রহণ করতেই অমর্ত্য সেনকে কটাক্ষ বাবুল সুপ্রিয়র]
Source: Sangbad Pratidin