সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পার্থ-অর্পিতার সম্পর্কের গভীরতাই এখন চর্চার কেন্দ্রে। এরই মাঝে ইডির জেরায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) দাবি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে তেমনভাবে চেনেন না তিনি। তাঁর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই ইডির দাবি, তথ্য গোপনের চেষ্টা করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, সেখানেই অর্পিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অস্বীকার করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডির তরফে পার্থকে প্রশ্ন করা হয়, “অর্পিতাকে চেনেন?” উত্তরে তিনি জানান, “না তেমনভাবে চিনি না।” ইডির পালটা প্রশ্ন তাহলে কীভাবে চেনেন? পার্থর জবাব, “অনেকেই আসেন আমার কাছে। তাই দেখেছি। নাকতলার পুজোতেও দেখেছি।” পার্থকে জিজ্ঞাসা করা হয়, “অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে এত টাকা উদ্ধার হয়েছে, জানেন?” পার্থর উত্তর, “শুনেছি, তবে ওই টাকা আমার নয়।”
[আরও পড়ুন: কীভাবে বিপুল সম্পত্তির মালিক? এবার নজরে অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ারের লকার]
শান্তিনিকেতনের বাড়ি, যার নাম ‘অপা’। অর্থাৎ অর্পিতার ‘অ’ এবং পার্থর ‘পা’। ২০১২ সাল থেকে যৌথভাবে অর্থাৎ পার্টনারশিপে ব্যবসা। যার ব্যালান্স শিট করা হয়েছে প্রতিবছর। অর্থাৎ সেই ব্যবসা এখনও চালুই ছিল। অর্পিতার সমস্ত ইনসিওরেন্সের নমিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এসমস্ত প্রমাণ প্রকাশ্যে চলে আসার পরও কীভাবে অর্পিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অস্বীকার করছেন পার্থ, সেটাই এখন প্রশ্ন। ইডির দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তথ্য গোপন করছেন পার্থ। তদন্তকারীদের ভুল পথে চালনা করার চেষ্টা করছেন।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “টালিগঞ্জ থেকে বেলঘরিয়া কার সঙ্গে কীভাবে যোগ, সবাই জানে। এভাবে বাঁচা যাবে না। তদন্ত প্রভাবিত করার প্রয়োজন নেই।” তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “তদন্ত চলছে। পার্থ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সবটা জানিয়েছেন। সেখানে তদন্তের মাঝে পার্থ কী বলছেন। তা নিয়ে কিছু বলার যুক্তি নেই।” প্রসঙ্গত, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে ও জামাইকেও তলব করেছে ইডি।
[আরও পড়ুন: কীভাবে বিপুল সম্পত্তির মালিক? এবার নজরে অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ারের লকার]
Source: Sangbad Pratidin