সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে আল কায়দা (al-Qaeda) প্রধান আয়মান আল-জওয়াহিরি (Ayman al-Zawahiri)। সোমবার এমনটাই ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। ৯/১১ হামলার অন্যতম মাথা জওয়াহিরি লাদেনের মৃত্যুর পরে আল কায়দার রাশ ধরে।
গত দু’দশক ধরেই গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এজেন্সিগুলি জওয়াহিরির সন্ধান করেছে। তার মৃত্যু নিঃসন্দেহে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনা। ভারতের ক্ষেত্রেও এই মৃত্যু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি হিজাব বিতর্কে মুখ খুলেছিল আল কায়দার সর্বোচ্চ এই নেতা। কর্ণাটকের ছাত্রী মুসকান খানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে সে জানিয়েছিল সে মুসকানের সাহসের প্রশংসা করে কবিতাও লিখেছে।
[আরও পড়ুন: ‘রাগ ছিল, জুতো মেরে শান্তি পেয়েছি’, ESI হাসপাতালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর হামলা মহিলার]
মুসকানের সাহস নিয়ে কবিতা লেখার কথা জানানো পাশাপাশি জাওয়াহিরিকে ভিডিওয় বলতে শোনা গিয়েছিল, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মুসকানের কথা জানতে পেরেছে সে। সেই সঙ্গে ভারতে মুসলিমদের প্রতি অন্যায় আচরণের অভিযোগ তুলে মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছিল জাওয়াহিরি। তার এই ধরনের মন্তব্যের পরই সচেতন হয়ে ওঠে ভারতীয় গোয়েন্দারা। আগামিদিনে জওয়াহিরি এই ধরনের উস্কানি দিতে পারে সেই সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করতেও সচেষ্ট ছিল সে। এই অবস্থায় তার মৃত্যুর পরে আল কায়দার ভারতের নেটওয়ার্ক যে বড় ধাক্কা খেল তাতে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।
জওয়াহিরি পশ্চিমি দুনিয়ার পাশাপাশি ভারতকেও টার্গেট করছিল তার ভিডিওগুলিতে। তার দাবি ছিল, এই মুহূর্তে ভারতে যে হিন্দু গণতন্ত্র চলছে তাকে ধ্বংস করতে হবে। ফলে সব মিলিয়ে জওয়াহিরির মতো নেতার মৃত্যুর পরে যে আল কায়দা বড়সড় ধাক্কা খেল আর ভারতের জন্য এই মৃত্যু যে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠল তা নিশ্চিত।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানের পেশোয়ারে ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে যৌথভাবে আল কায়দা প্রতিষ্ঠা করেছিল মিশরীয় চিকিৎসক জওয়াহিরি। ২০১১ সালে পাকিস্তানে নিহত হয় আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেন। তারপরই জঙ্গি সংগঠনটির রাশ ধরে জওয়াহিরি। অবশেষে ড্রোন হামলায় নিহত হল সেই নেতা।
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনের রং সোশ্যাল মিডিয়ায়, মোদি-শাহর প্রোফাইল ছবিতে তেরঙ্গা]
Source: Sangbad Pratidin