সুকুমার সরকার, ঢাকা: রবীন্দ্র সংগীতকে বিকৃত করার অভিযোগে ইতিমধ্যে সমালোচিত হিরো আলম (Hero Alam)। এবার তাঁর পাশে দাঁড়ালেন বিতর্কিত সংগীত শিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে পোস্টও করেছেন। তাঁর দাবি, “রবীন্দ্রনাথ-নজরুল তো আর নবী কিংবা দেবতা না যে তাদের গান প্যারোডি আকারে গাওয়া যাবে না!”
রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের সাহিত্যে তেমন কোনো অবদানই রাখেননি মন্তব্য করে নোবেল লিখেছেন, “রবীন্দ্রনাথ এদেশের কবিদের মূল্যায়ন করে যাই নাই তারে নিয়ে যে এদেশে চর্চা হয় এটাই রবীন্দ্রনাথের জন্য বেশি। তাছাড়া বাংলাদেশের সাহিত্যে যেহেতু রবীন্দ্রনাথের অবদান নিতান্তই কম, নেই বললেই চলে, সেক্ষেত্রে তার গান এদেশের কেউ যদি প্যারোডি আকারে গায় সেটা রবীন্দ্রনাথের জন্যই মঙ্গলজনক।”
[আরও পড়ুন: ‘স্যর মানবিক, প্রত্যেককে চাকরির আশ্বাস’, অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন SSC আন্দোলনকারী]
হিরো আলমের (Hero Alam) বেসুরো গানের কারণে মারাত্মক বিরক্ত বাংলাদেশের একাংশের মানুষ। তাঁদের কথায়, দেশের সংস্কৃতি নষ্ট করছেন হিরো আলম। তাঁর এই ধরনের গান বাজনা বন্ধ করা উচিত। হিরো আলম কখনও বেসুরো রবীন্দ্রসংগীত গেয়েছেন, কখনও সিনেমার গান, কখনও আবার নিজের লেখা গানও গাইতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি হিরো আলমের এই গান ও তাঁর ভিডিওর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ সংস্থা এক মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল। সেখানেই তাঁরা হিরো আলমের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের কাছে মুচলেকাও দেন হিরো আলম।
মুচলেকা প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন হিরো আলম। তিনি বলেন, “দু’দিন ধরে তোলপাড় চলছে, হিরো আলম নাকি গান গাইবে না। সে কথা ভুল। আমি বলেছি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত ও লালন সংগীত গাইব না। আমার নিজের লেখা, নিজের সুর করা গান তো গাইব। সে অনুযায়ী আমার নিজের করা একটি গান প্রকাশ করেছি। এখানে আমাকে ফাঁসির কয়েদি হিসেবে দেখা যাবে।”
[আরও পড়ুন: ‘যা পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, আমি চুনোপুঁটি’, পার্থ-অর্পিতার ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে মুখ খুললেন মদন]
Source: Sangbad Pratidin