ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্য়ায়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) ১০দিনের জন্য ইডি হেফাজতে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অথচ মঙ্গলবার বিধানসভা চত্বরে হঠাৎই দেখা মিলল তাঁর গাড়ির! না, ভিতরে নেই সেই চেনা মুখ যিনি গত এক দশকেরও বেশি সময় এই গাড়িতেই ঘুরেছেন এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। তাহলে কেন বিধানসভা চত্বরে গাড়িটি? আসলে পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে বিধানসভা থেকে এই গাড়িটি দেওয়া হয়েছিল পার্থকে। সেটিই ফিরিয়ে দেওয়া হল।
২০১১ সালে তৃণমূল বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর পরিষদীয় দপ্তরের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন পার্থ। পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে তাঁকে বিধানসভা থেকে গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। ডব্লিউ বি ১০-০০০৬- এই নম্বরের গাড়িটিতেই যাতায়াত করতেন রাজ্যের বর্তমান শিল্পমন্ত্রী। সেই গাড়িই মঙ্গলবার ফিরিয়ে দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দপ্তর থেকেই গাড়িটি ফিরিয়ে দিতে বলা হয়। সেই মতো, এদিন বিধানসভা কর্তৃপক্ষের হাতে গাড়ির চাবি ফেরত দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: শত্রু মোকাবিলায় বড় সিদ্ধান্ত, ২৮ হাজার কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কেনার অনুমতি দিল কেন্দ্র]
এই মুহূর্তে পরিষদীয় দপ্তরের পাশাপাশি শিল্প ও বাণিজ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের দায়িত্বে পার্থ (Partha Chatterjee)। তবে আজকের গাড়ি ফেরতের ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি মন্ত্রিত্ব থেকেও ইস্তফা দিতে চলেছেন পার্থ? আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্য মন্ত্রীদের উপস্থিতি থাকার কথা। সেই বৈঠকে পার্থকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয় কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে ও বেনামে শহরে কোনও সম্পত্তি রয়েছে কি না, থাকলে তা কতগুলি, সেসবের নিয়মিত কর দেওয়া হত কি না, এইসব খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুরসভা। পাশাপাশি শহরে নথিভুক্তহীন কত সম্পত্তি রয়েছে, সেগুলিরও তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আছে কী করতে? কীসের এত প্রচার?’, ছাত্রের চিকিৎসা নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে ভর্ৎসনা হাই কোর্টের]
পার্থর গ্রেপ্তারির পরই রাজ্যজুড়ে একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, যেগুলি কি না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলে দাবি করা হচ্ছে। কলকাতার মধ্যেও এরকম একাধিক ঠিকানা উঠে এসেছে যার আসল মালিক পার্থ বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও পুরসভার তথ্যে ওই সব সম্পত্তির মালিকানায় তাঁর নাম উল্লেখ করা নেই। মামলার তদন্তে মন্ত্রীর নামে ও বেনামে থাকা স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির খোঁজ চালাচ্ছে ইডি। মন্ত্রীর সম্পত্তির খোঁজে তারা দারস্থ হতে পারে ৫ এসএন ব্যানার্জী রোডেও, এমনটাই মনে করছে পুর কর্তৃপক্ষ। তাই শহরে মন্ত্রীর নামে ও বেনামে থাকা সম্পত্তি আছে কি না, তা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে সম্পত্তিকর বিভাগকে পুর কমিশনার বিনোদ কুমার নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর।
Source: Sangbad Pratidin