সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা লিগের জন্য দলগঠন শুরু করে দিল টালিগঞ্জ অগ্রগামী। একই দিনে চার ফুটবলারকে সই করিয়ে নিল মুর এভিনিউয়ের ক্লাব। দু’ জন বিদেশি ও দু’ জন বঙ্গসন্তানকে সই করাল মুর এভিনিউয়ের ক্লাব।
জার্সির রং বদলাল আনসুমানা ক্রোমার (Ansumana Kromah)। টালিগঞ্জ অগ্রগামীতে (Tollygunge Agragami) সই করলেন এই ‘গোলমেশিন’। পিয়ারলেস থেকে টালিগঞ্জে এলেন ক্রোমা।
তাঁর সঙ্গে শুক্রবার সই করলেন চিজোবা ক্রিস্টোফারও (Christopher Chizoba)। এই নাইজেরীয় ফুটবলার গতবার টালিগঞ্জেই ছিলেন। এবারও তাঁর উপরেই আস্থা রাখা হল। দুই বিদেশি ফুটবলারের সঙ্গে অর্ণব দাস শর্মা ও সুজয় দত্তকেও সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কলকাতার ফুটবলে পরিচিত মুখ ক্রোমা। পিয়ারলেসকে (২০১৯-২০) চ্যাম্পিয়ন করানোর পিছনে ছিল তাঁর অবদান। ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতেও আই লিগে নেমেছেন তিনি। এহেন লাইবেরিয়ান ক্রোমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভাল ছিল না। বড় পরিবারের অংশ তিনি। ক্রোমার বাবা গাড়িচালক ছিলেন। সংসার চালাতে হিমশিম খেতেন ক্রোমার বাবা। খিদের সঙ্গে লড়াই করে বেড়ে উঠেছে ক্রোমার ফুটবল জীবন। সপ্তম শ্রেণির পরে স্কুলে যাওয়াই প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর।
[আরও পড়ুন: IPL 2022: রাজস্থানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ইডেনের রাজা’ রজতেই ভরসা আরসিবির]
ক্রোমাকে ফুটবল খেলতে দিতেন না তাঁর বাবা। কিন্তু বাবার কথা শুনতেন না ক্রোমা। লুকিয়ে স্কুলে ফুটবল খেলতেন ময়দানের গোলমেশিন। এদেশের পেশাদার ফুটবলে আসার পরে জীবন অনেকটাই বদলে যায় ক্রোমার। মোহনবাগানের সবুজ-মেরুন জার্সিতে খেলেছেন। সেই ক্লাবের প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা। ক্রোমার প্রতি কথাতেই তা ফুটে বেরোয়।
ক্রোমার মতোই ক্রিস্টোফারও অতীতে মোহনবাগানে খেলেছেন। ওডাফা ওকোলি জমানা সেই সময়ে। সবুজ-মেরুনের কোচ ছিলেন করিম বেনশরিফা। সেই ক্রিস্টোফার মাঝে চলে গিয়েছিলেন মায়ানমারের ক্লাবে খেলতে। গতবার তিনি টালিগঞ্জের জার্সি পরেই খেলেছিলেন। এবারও তাঁকে রেখে দেওয়া হল টালিগঞ্জে। গোল করার জন্য তাঁর সঙ্গী হবেন ক্রোমা।
[আরও পড়ুন: ফের ঘর গোছানো শুরু মোহনবাগানের, পাঁচ বছরের জন্য সবুজ-মেরুনে আশিক]
Source: Sangbad Pratidin