অর্ণব দাস, বারাকপুর: “মানে, কী এসব? মেনে নিতে পারলাম না।” গত ১৫ মে ছোটপর্দার অভিনেত্রী পল্লবী দে‘র (Pallavi Dey) মৃত্যুতে ঠিক এমনই অবাক হয়েছিলেন বিদিশা। প্রায় সমবয়সি অভিনেত্রীর মৃত্যু সংবাদ যেন কাঁপিয়ে দিয়েছিল তাঁকে। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াও সম্ভব! বারবার নিজেকেই প্রশ্ন করছিলেন উঠতি মডেল। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে কী এমন পরিবর্তন হল তাঁর নিজের জীবনে? কেন জীবনযুদ্ধ থেকে পিছু হঠলেন বিদিশা? নাগেরবাজারের ভাড়া বাড়ি থেকে মডেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর ক্রমশ দানা বাঁধছে রহস্য।
উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের টালিখোলার বাসিন্দা বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha De Majumder)। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাবা, মা, বোন ছাড়া নিজের বলতে আর তেমন কেউ নেই। ছোট থেকেই মেধাবী বিদিশা। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ-গানেও পারদর্শী। একটু বড় হতেই মডেলিংয়ে নেশা জন্মায়। ২০১৮ সালে শারদ সুন্দরী সম্মান পান। ধীরে ধীরে কাজ আসছিল। মডেলিং জগতে শিকড় শক্ত হচ্ছিল ক্রমশ। তবে প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়নি বিদিশার। কারণ, একেবারে ঘরের মেয়ের মতো মিশুকে ছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা, গ্রেপ্তার অভিনেত্রীর স্বামী]
পেশার টানে কলকাতায় চলে আসা বিদিশার। নাগেরবাজারের রামগড় কলোনিতে বাড়ি ভাড়া নেন। মডেলের বান্ধবীর দাবি, জীবনে প্রেমও আসে বিদিশার। ৫ মাসের সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা দ্রুত বাড়তে থাকে। একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন উঠতি মডেল। যদিও অভিনব বেরা নামে ওই যুবক বিদিশাকে ভালবাসার কথা মানতে নারাজ। শারীরিক সম্পর্ক থাকলেও, প্রেম ছিল না, দাবি তাঁর।
পেশাগত সমস্যা নাকি সম্পর্কের টানাপোড়েনে অল্প বয়সেই দিশাহীন হয়ে গিয়েছিলেন বিদিশা? সে কারণে কী আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত? উঠছে প্রশ্ন। আত্মহত্যা করেছেন বিদিশা, মানতে নারাজ তাঁর প্রতিবেশীরা। সন্তানশোক বড়ই কঠিন। নির্মম সত্য মানতে পারছেন না বিদিশার মা। চোখের জলে ভাসছেন তিনি। যে বা যারা মেয়ের মৃত্যুতে দায়ী, তাদের কঠোর শাস্তি হোক, এমনটাই চান সদ্য সন্তানহারা মা।
[আরও পড়ুন: প্রেমের টান, সংসার ছেড়ে টোটো চালকদের সঙ্গে ঘর বাঁধলেন দুই গৃহবধূ! চাঞ্চল্য বাগদায়]
Source: Sangbad Pratidin