সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি অন্যের ‘ঝামেলা’ কিনেই লাখপতি! তাঁর দোকানের নাম ‘মেসার্স ঝামেলা কিনি’। যে ঝামেলা সকলের কাছে অস্বস্তির, যা থেকে অব্যহতি চান সকলেই, তাই নাকি এই মানুষটার ভাগ্য ফিরিয়েছে, তাতেই লক্ষ্মীলাভ-সংসার-ঘর-বসতি। শুনতে উদ্ভট শোনালেও এটাই সত্যি। তবে ব্যাপারটা খানিক খোলসা করে বলা দরকার। নইলে এই বাংলাদেশি (Bangladeshi) সওদাগরের কাণ্ড নিয়ে ধন্দ থেকে যাবে।
ভদ্রলোকের নাম সায়েম আহমেদ।বাংলাদেশের ময়মনসিংহে (Mymensingh) একটি দোকান রয়েছে তাঁর। ওই দোকানেরই আশ্চর্য নাম ‘মেসার্স ঝামেলা কিনি’। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, সায়েমের দোকানের এমন আজব নাম কেন? এই বিষয়ে জবাব দিয়েছেন দোকানের মালিক নিজেই। তিনি জানান, ঘরে নতুন আসবাব এলে পুরনো আসবাবপত্র ‘ঝামেলা’য় পরিণত হয় মানুষের কাছে। কারণ নতুনের পাশে পুরনোর আর তত কদর থাকে না। ফলে তখন তা অবহেলার জিনিসে পরিণত হয়। এই আসবাবই স্বল্পমূল্যে কিনে নেন সায়েম। এরপর তা মেরামত করে ফের বেচে দেন। আর তাতেই মাস গেলে লাখ টাকা আয় করছেন ‘ঝামেলা’ ব্যবসায়ী সায়েম আহমেদ।
[আরও পড়ুন: দোকানের বাইরে পাহারায় মুণ্ডহীন নিরাপত্তারক্ষী! কীভাবে সম্ভব? ছবি দেখে তাজ্জব নেটদুনিয়া]
সায়েম জানিয়েছেন, শুরুতে একাই কাজ শুরু করলেও এখন তাঁর দোকানে সাত-আট জন কর্মচারী রয়েছেন। তাঁদের মাসে ১০ হাজার টাকা করে বেতন দেন তিনি। পুরনো আসবাব বেচে প্রতিদিন ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন। সব মিলিয়ে ‘ঝামেলা’র ব্যবসার ক্রমশই বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে বলেই দাবি। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন দোকানের এমন সুন্দর নাম কীভাবে মাথায় এল সায়েমের?
[আরও পড়ুন: রান্নায় ‘নুন বেশি’, মারধর করে স্ত্রীর মাথা কামিয়ে দিল স্বামী!]
ঢাকার একটি সংবাদ মাধ্যমকে সায়েম জানিয়েছেন, দোকানের নাম ঠিক করতে নাকি দুই থেকে তিন মাস সময় লেগে গিয়েছিল তাঁর। বলেন, “একময় মনে হয়েছিল পুরনো আসবাব অনেকের কাছেই ঝামেলা হয়ে দাঁড়ায়। আর সেই ঝামেলাই আমি কিনব ঠিক করি। তার পরই সেই শব্দের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে দোকানের নাম দিলাম ‘ঝামেলা কিনি’।” সায়েমের ঝামেলার দোকান সামাজিক মাধ্যমেও জনপ্রিয়। সেখান থেকেও নিয়মিত পুরনো আসবাবের সওদা হয়।
Source: Sangbad Pratidin