সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের আকস্মিক ইস্তফায় সেরাজ্যের রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিপ্লবের ইস্তফায় খানিকটা চমকে গিয়েছে বিরোধী শিবিরও। এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বিজেপির অন্দরের গোষ্ঠীবাজির শিকার হলেন বিপ্লব। তাছাড়া, ত্রিপুরার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে বলে এতদিন ধরে যে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস করে আসছিল, সেটাই প্রমাণিত হল বিপ্লবের ইস্তফায়।
বিপ্লবের ইস্তফা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য,” এটা বিজেপির অভ্যন্তরীণ চূড়ান্ত গোষ্ঠীবাজির পরিণতি। বিজেপি একটা লবিবাজদের দল। এর সঙ্গে ত্রিপুরার মানুষ বা ত্রিপুরার উন্নয়নের কোনও সম্পর্ক নেই। পুরোটা বিজেপির অন্দরের ক্ষমতা দখলের খেলা।” কুণালের আক্রমণ, “যারা একজন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়াদ শেষ করাতে পারে না, তারা কী করে মানুষের কাছে যাবে। এই সরকার এবং সরকারের মাথারা যে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না, সেটা প্রমাণিত হয়ে গেল।”
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরার রাজনীতিতে শোরগোল, হঠাৎ ইস্তফা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের]
তৃণমূলের দাবি, ২০২৩ সালে এমনিতেই বিজেপির ক্ষমতা হারানোর কথা। তার একবছর আগে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে সরতে হল বিপ্লব দেবকে। বিপ্লব ইস্তফা না দিলেও আগামী বছর সেরাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরত বলে দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য,”আগামী দিনে ত্রিপুরায় তৃণমূল শক্তিশালী সরকার গড়বে। মাত্র ৪ মাস লড়াই করে পুরনির্বাচনে ২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। এখন ত্রিপুরার সাধারণ মানুষই প্রশ্ন তোলা শুরু করেছে। ত্রিপুরার মানুষই বলছে, বাংলার মানুষ লক্ষীর ভাণ্ডার পেলে ত্রিপুরার মানুষ কেন পাবে না। প্রশ্ন উঠছে বাংলা সবকিছুতে এগিয়ে যাচ্ছে, ত্রিপুরা কেন যাবে না।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভার টিকিট পেতে পারেন গৌতম আদানি! অন্ধ্রপ্রদেশে বাড়ছে গুঞ্জন]
যদিও তৃণমূলের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরা বিজেপির এক বিধায়কের দাবি, “বিপ্লব দেবের এই ইস্তফা সম্পূর্ণ দলের অন্দরের ব্যাপার। দলের নির্দেশে কেউ কোনও পদে আসে, কোনও পদ ছাড়ে। বিপ্লববাবুকে হয়তো দল অন্য কোনওভাবে কাজে লাগাতে চায়। কিন্তু এতে তৃণমূলের উল্লাসের কোনও কারণ নেই। ২০২৩ সালে আবার বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে। এবং শক্তিশালী সরকার গড়বে।” বিপ্লবের পদত্যাগের পর বিজেপির অন্দরে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের দাবি, ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তবে লড়াইয়ে আছেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মাও।
Source: Sangbad Pratidin