স্টাফ রিপোর্টার: মেট্রোর কাজে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি ভেঙে ফেলার চিন্তাভাবনা করছে কলকাতা পুরসভা (KMC)। বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি পরিদর্শনের পর পুরসভার বিল্ডিং দপ্তর মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রিপোর্টে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি বাড়ি ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে তার আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে বাড়ি ও মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে পুরসভা। তারপরই বাড়িগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা পুরসভা। এই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেও জমা পড়েছ বলে খবর।
মেট্রোর (Metro Rail) কাজে বুধবার রাতে ফের বউবাজারে পুরসভার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গা পিতুরি লেনে একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিপর্যয়ের পর মেট্রোর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবার কেএমআরসিএলকে (KMRCL) নিয়ে পুরভবনে বৈঠকে বসবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যদিও এদিন সকালে কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, সুড়ঙ্গের ১১টি জায়গা থেকে জল বেরচ্ছিল, তা বন্ধ করা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পুরস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে অশালীন পোস্ট, ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে FIR]
দু’বছর আগে মেট্রো বিপর্যয়ে দুর্গা পিতুরি লেনে প্রায় ৩০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবার ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৪টি বাড়ি। ২০১৯ সালে দুর্ঘটনায় এই বাড়িগুলিতেও ফাটল ধরেছিল। সেই সময় বাড়িগুলি মেরামত করে বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনে কেএমআরসিএল।
বউবাজারের বিপজ্জনক এলাকা পরিদর্শনে ফিরহাদ হাকিম।
স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, মেট্রোর কাজে এখানে অধিকাংশ বাড়ির অবস্থা খারাপ। তার উপর বারবার একই ঘটনা ঘটছে। মেট্রো চালু হলে ফের বাড়িগুলির ক্ষতি হতে পারে। তাই একটা উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা দরকার। যদিও পুরসভা আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firad Hakim) ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি রাখা কতটা নিরাপদ তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মেয়র বলেন, “এখানে বাড়িগুলি পুরনো। ইটের ভিত দিয়ে তৈরি। পাইলিং নেই। মাটি সরে গেলে এই বাড়িগুলি বসে যায়। এইসব বাড়ি আদৌ রাখা সম্ভব কি না, তা ঠিক করতে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: অর্জুনকে ধরে রাখতে মরিয়া BJP, পাটশিল্প নিয়ে বৈঠকের পর কমিটি গঠন কেন্দ্রের]
Source: Sangbad Pratidin