কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৬৫/৯ (নীতীশ-৪৩, ভেঙ্কটেশ-৪৩, বুমরাহ-১০/৫)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১১৩/১০ (ঈশান-৫১, কামিন্স-২২/৩)
৫২ রানে জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা দলের তাগিদ কেবল সম্মানরক্ষার। আর একটা দলের কাছে জীবনমরণ লড়াই। এমন দুই দল মুখোমুখি হলে, উত্তেজনার পারদ চড়াই স্বাভাবিক। প্রথমটি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং পরেরটি কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর মাঠে বল গড়াতে সেই উত্তেজনা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিলেন জশপ্রীত বুমরাহ। তাঁর ঝোড়ো পেসের সাক্ষী থাকল ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়াম। কিন্তু বুমবুম বুমরাহর অনবদ্য রেকর্ডের দিনও জয়ের মুখ দেখা হল না মুম্বইয়ের। দলে একঝাঁক বদল ঘটিয়েই রোহিত শর্মাদের দুরমুশ করলেন শ্রেয়স আইয়ার। আর সেই সঙ্গে আরও একবার উজ্জ্বল হল কেকেআরের প্লে অফে পৌঁছনোর আশা।
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে নিজেদের সবটুকু উজার করে দিতে হয়। এদিন কেকেআরের প্রথম একাদশ যেন সে কথাই মনে করিয়ে দিল। এক-দুটো নয়, পাঁচটা বদল এনেছিলেন শ্রেয়স। অ্যারন ফিঞ্চ, শিবম মাভি, হর্ষিত রানা, অনুকূল রায় ও বাবা ইন্দ্রজিৎকে বসিয়ে এদিন দলে ফেরানো হয় রাহানে, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, প্যাট কামিন্স, বরুণ চক্রবর্তী এবং শেলডন জ্যাকসনকে। লাগাতার খারাপ পারফর্ম করলেও এদিন দলে সুযোগ পেয়ে ছন্দে ফিরলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ৪৩ রানের মূল্যবান ইনিংশ খেলেন নাইট ওপেনার। ২৫ রানে রাহানে ফিরলে ৪৩ রান করেন নীতীশ রানাও। তবে কেকেআরের মিডল অর্ডারকে কার্যত খুবলে খেলেন বুমরাহ।
আইপিএলে প্রথমবার এক ম্যাচে পাঁচটি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন তিনি। গত ১০ ম্যাচে যেখানে মোট ৫ উইকেট তুলেছিলেন তিনি, সেখানে এদিন মাত্র ১০ রান দিয়েই সেই সংখ্যক উইকেট ঝুলিতে ভরে ফেললেন। এর আগে ১২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির ছিল ইশান্ত শর্মার। তবে স্পিনার হিসেবে অনিল কুম্বলের ঝুলিতে রয়েছে আইপিএলে ৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। বুমরাহর দুরন্ত পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত হয়ে টুইট করেন তাঁর স্ত্রী সঞ্জনা গণেশন। লেখেন, তাঁর স্বামী যেন মাঠে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। বুমরাহকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন প্রাক্তন ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রীও।
Holy moly! My husband is
— Sanjana Ganesan (@SanjanaGanesan) May 9, 2022
কিন্তু এরপরও আক্ষেপ রয়েই গেল। এমন রেকর্ড গড়ার দিনও যে কেকেআরকে হারানো গেল না। অথচ এই নাইটদেরই সবচেয়ে গাঁট মুম্বই। কিন্তু এদিন শ্রেয়সের নেতৃত্বে হেসে-খেলেই এল জয়।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে নিজেকে প্রমাণ করা রিঙ্কু সিং এদিনও নজর কাড়েন। ২৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে লড়াই করার মতো জায়গা তৈরি করে দেন।
Source: Sangbad Pratidin