শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যেতে না যেতেই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে প্রেম। বন্ধুর সহযোগিতায় প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়েও ছিলেন যুবক। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পালানোর সময় পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেল দুই রাজমিস্ত্রি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) দাসপুরে।
হাওড়ার (Howrah) নিশ্চিন্দার দুই বধূ ও রাজমিস্ত্রির প্রেমকাহিনী কারও অজানা নয়। তাঁদের প্রেম হার মানিয়েছে সিনেমার গল্পকেও। প্রেমিকদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে দুই বধূ বাড়ি ফিরলেও প্রেমিককরা আজও তাঁদের অপেক্ষায়। প্রেমিকার খোঁজ পাওয়ার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে দুজনই। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। জানা গিয়েছে, মাস দেড়েক আগে দাসপুরের দরি অযোধ্যা গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্তী পাত্রের বিয়ে হয় ওই গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে। স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল জীবন।
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় শিল্পে জোয়ার! রঘুনাথপুরে কারখানা গড়বে দেশের পাঁচ বৃহৎ শিল্প সংস্থা]
শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন জয়ন্তী। তাঁর শ্বশুরবাড়ির এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজে আসে রাকেশ শেখ ও শেখ মনিরুল নামে দুই যুবক। বীরভূমের পাইকর থানার রুদ্রনগরের বাসিন্দা তাঁরা। শোনা যাচ্ছে, কাজ করতে আসার সুবাদেই জয়ন্তীর সঙ্গে পরিচয় হয় শেখ রাকেশের। কথা বার্তা হতে হতে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁদের মধ্যে। এরপরই প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এই সম্পর্ককে পরিণতি দিতে সকলের চোখে ধুলো প্রেমিকাকে নিয়ে পালানোর ছক কষে রাকেশ।
জানা গিয়েছে, যুগলকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন শেখ মনিরুল। শুক্রবার রাতে জয়ন্তীকে নিয়ে পালানোর ছক কষেন শেখ রাকেশ ও শেখ মনিরুল। কিন্তু পালানোর সময় পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় তাঁরা। এরপরই তরুণীকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুন করেছি’, পুলিশকে ফোনের পরই আত্মহত্যার চেষ্টা পুরুলিয়ার যুবকের]
Source: Sangbad Pratidin