অর্ণব দাস: স্ত্রী পরপুরুষের প্রেমে মজেছেন! স্রেফ সন্দেহের বশে দাম্পত্য অশান্তি লেগেই ছিল। আর সেই টানাপোড়েনের জেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী মার্বেল ব্যবসায়ী। উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির শ্যামাপল্লির ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য। দাম্পত্য অশান্তি নাকি আত্মহত্যার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির শ্যামাপল্লির বাসিন্দা গৌতম শী। বছর তিরিশের ওই যুবক পেশায় মার্বেল ব্যবসায়ী। বেশ কয়েক বছর আগেই বিয়ে হয় তাঁর। ব্যবসায়ীর স্ত্রীর দাবি, বিয়ের পর সংসার বেশ ভালই চলছিল। তবে ধীরে ধীরে স্ত্রী বুঝতে পারেন গৌতম অত্যন্ত সন্দেহপ্রবণ। গৃহবধূর দাবি, তাঁর স্বামী কোথাও যেতে দিতেন না। এমনকী পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলাও পছন্দ করতেন না। কারও সঙ্গে মেলামেশা করলেই অশান্তি হত।
[আরও পড়ুন: অসাধ্যসাধন! শূকরের ঘোঁত ঘোঁত ‘ডিকোড’ করলেন বিজ্ঞানীরা]
রবিবার বিকেলে স্বামীর বারণ সত্ত্বেও স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে কথা বলছিলেন ওই তরুণী। তা নিয়ে দু’জনের অশান্তির সূত্রপাত। কথাবার্তা বলা হয়ে গেলে ঘরে ফেরেন ওই মহিলা। অভিযোগ, সেই সময় স্বামী তাঁকে গালিগালাজ করে। এমনকী মারধরও করে তাঁকে। এরপর বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। সেই মতো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়িতে ফিরে যান ওই গৃহবধূ। সন্ধেয় শাশুড়ির সঙ্গে ফোনে কথাও বলে গৌতম। স্থানীয় এক মহিলার দাবি, ফোন রেখেই নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন ওই যুবক। তাঁর আর্তনাদ শুনে দৌড়ে আসেন তিনি। দেখেন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ছটফট করছেন গৌতম। তড়িঘড়ি কুয়ো থেকে জল তুলে যুবকের গায়ে ঢালেন ওই মহিলার স্বামী। জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে কুয়োয় ঝাঁপ দেন গৌতম।
এই ঘটনার খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন এবং খড়দহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। ব্যবসায়ীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: সরকারি স্কুলে নীল-সাদা পোশাকে থাকবে ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগো, নির্দেশিকা সমগ্র শিক্ষা মিশনের]
Source: Sangbad Pratidin