সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উদ্দেশ্য ছিল কোনওক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে দেশে ফেরা। সরকারি নির্দেশ পেয়ে নিজের উদ্যোগেই কিয়েভ ছেড়ে পোল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পোল্যান্ডে পৌঁছানোর আগেই গুলিবিদ্ধ হলেন আরও এক ভারতীয় পড়ুয়া। আপাতত হাসপাতালে ভরতি তিনি। শুক্রবার এই দুঃসংবাদ শুনিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভিকে সিং (VK Singh)।
I received info today that a student coming from Kyiv got shot and was taken back midway. We’re trying for maximum evacuation in minimum loss: MoS Civil Aviation Gen (Retd) VK Singh, in Poland#RussiaUkraine pic.twitter.com/cggVEsqfEj
— ANI (@ANI) March 4, 2022
জেনারেল সিং জানিয়েছেন, “আমি আজ খবর পেলাম কিয়েভ থেকে আসার পথে আরও এক ভারতীয় গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মাঝ রাস্তা থেকে তাঁকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানকার হাসপাতালেই ভরতি আছেন তিনি। আমরা চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব কম ক্ষতি করে সবাইকে উদ্ধার করা যায়।” আসলে সরকার আগেই ভারতীয়দের যেভাবেই হোক কিয়েভ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ পেয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে শহর ছেড়ে পোল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেন ওই পড়ুয়াও। কিন্তু মাঝপথেই গুলিবিদ্ধ হতে হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: মুছে দেওয়া হল আমেরিকা, ব্রিটেনের পতাকা! রুশ রকেটে জ্বলজ্বল করছে শুধু তেরঙ্গা]
গুলিবিদ্ধ ওই পড়ুয়ার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। জেনারেল ভিকে সিং জানিয়েছেন, “আগেই ভারতীয় দূতাবাস সবাইকে কিয়েভ (Kyiv) থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছিল। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে বুলেট কারও ধর্ম বা কারও জাতি দেখে না।” ওই ভারতীয় পড়ুয়াকে কীভাবে প্রাণে বাঁচিয়ে ফিরিয়ে আনা যায় সেটাই এখন চিন্তার। কারণ, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের (Ukraine) কোনও অংশই এখন নিরাপদ নয়। হাসপাতালে সঠিকভাবে তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে কিনা সেটাও জানা নেই।
[আরও পড়ুন: ফের বৈঠকে বসল রাশিয়া-ইউক্রেন, এবার কি থামতে চলেছে যুদ্ধ?]
বস্তুত, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে এখনও বেশ কিছু ভারতীয় আটকে রয়েছে। ‘অপারেশন গঙ্গা’র (Operation Ganga) মাধ্যমে বহু ভারতীয় পড়ুয়াকে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। সরকার দাবি করছে ৮০ শতাংশের বেশি ভারতীয় ইতিমধ্যেই ইউক্রেন ছেড়েছে। কিন্তু এখনও কয়েক হাজার পড়ুয়া ইউক্রেনে আটকে। ইতিমধ্যেই এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে রুশ গোলায়। আরও এক পড়ুয়ার প্রাণ গিয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। এবার আরও একজন গুলিবিদ্ধ হলেন।
Source: Sangbad Pratidin