অর্ণব দাস, বারাসত: লটারিতে টাকা জেতার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার হল যুবকের মৃতদেহ। শনিবার হাবড়ার শশ্মান সংলগ্ন এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, যুবকের লটারিতে জেতা টাকা, মানিব্যাগ ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে খুন করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
মৃতের নাম কৃষ্ণপদ দাস (৩৩)। তাঁর বাড়ি হাবড়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ইতনা কলোনি এলাকায়। স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণপদ রেলের ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন। লটারির টিকিট কাটারও নেশা ছিল তাঁর। শুক্রবার লটারিতে ৪৫ হাজার জিতেছিলেন। এর পর অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ কাজে যাওয়ার জন্য় নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। এর পর সকাল দশটা নাগাদ পরিবারের লোকজন জানতে পারেন হাবড়া শশ্মান সংলগ্ন এলাকায় জলাশয়ে পড়ে রয়েছে কৃষ্ণপদর দেহ। মৃতদেহ উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: ‘ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মী খুনে জড়িত অর্জুন সিং’, দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিধায়ক]
মৃতের পিসতুতো দাদা অমল দাস অভিযোগ করে বলেন, “ভাইয়ের মানিব্যাগ এবং মোবাইল পাওয়া যায়নি। আগের দিনই সে লটারিতে ৪৫ হাজার টাকা জিতেছিল। তাই আমাদের সন্দেহ হচ্ছে ভাইকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।” মৃতের শ্বশুর কানাইলাল বিশ্বাসের অভিযোগ, “আমার মনে হয় ওর থেকে লটারিতে জেতা টাকা, মানিব্যাগ, মোবাইল নিয়ে কেউ ওকে জলে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছে।” পরিবারের তরফে এবিষয়ে হাবড়া থানায় খুনের অভিযোগও দায়ের হয়েছে। তবে মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
[আরও পড়ুন: বেঁচে থেকেও ‘মৃত’! বন্ধ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ‘জীবিত’ প্রমাণে প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরলেন বধূ]
Source: Sangbad Pratidin