সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্ঘটনাপ্রবণ রাস্তায় দুর্ঘটনা কমাতে তৈরি করা হচ্ছে ‘সেফ করিডর’। রাজ্যে প্রাথমিকভাবে দুটি এই নিরাপদ করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষ্ণুপুর থেকে আরামবাগের মধ্যে হবে প্রথম করিডরটি। আর দ্বিতীয়টির স্থান এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এই করিডর দুটিতে দুর্ঘটনার সংখ্যা শূন্যে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এই ‘নিরাপদ রাস্তা’ তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে বাংলায়। দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির হার গড়ের চেয়ে বেশি এমন রাস্তাগুলির দৈর্ঘ্যের কিছু অংশ ‘নিরাপদ করিডর’ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। এতে রাস্তাগুলির নিরাপত্তা উন্নত করা হবে। এমনকী বেপরোয়া যান চলাচল রুখতে এসব এলাকায় ট্র্যাফিক জরিমানা দ্বিগুণও করা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: কৈশোর থেকে মায়ের প্রেমিকের যৌন নির্যাতন! থানায় FIR কলেজ ছাত্রীর]
পথ নিরাপত্তা নিয়ে শুক্রবার পূর্ত, স্বাস্থ্য, পরিবহণ, ট্র্যাফিক পুলিশ, স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে একটি বৈঠক করা হয়। সেখানেই এই করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেফ করিডরের অর্থ, দুর্ঘটনাপ্রবণ রাস্তায় দুর্ঘটনার সংখ্যা শূন্যে নিয়ে আসা হবে। নিরাপদ করিডর উদ্যোগটি নিউ জার্সি ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপোর্ট প্রথম শুরু করে। এবং তারপর অন্যান্য দেশেও একাধিক রাজ্য রাস্তাগুলির নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য এই করিডর তৈরি করে। যেভাবেই হোক দুর্ঘটনা কমাতেই এই পরিকল্পনা। আপাতত ঠিক হয়েছে, বিষ্ণুপুর-আরামবাগ ৭০ কিলোমিটার রাস্তাকে নিরাপদ করিডর হিসাবে এক বছরের মধ্যে গড়ে তোলা হবে। রাস্তার ধারে হবে ফুটপাথ। বাড়বে সিগন্যালিং, রাস্তার মোড়ে মোড়ে থাকবে গার্ডরেল, জেব্রা ক্রসিং, মেরামত করে রাস্তা মসৃণ করা হবে, নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর রাস্তায় দাঁড় করানো থাকবে অ্যাম্বুল্যান্সও। সেফ করিডরে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রথম ধাপে দুটি রাস্তাকে এভাবে তৈরি করা হবে।
নবান্নসূত্রে খবর, এক বছরের মধ্যে এই করিডর তৈরির কাজ এই রাস্তায় করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৩ সালে এই রাস্তায় ২৫টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই সংখ্যা শূন্যতে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসেই রোড সেফটি কাউন্সিলের বৈঠক রয়েছে। গত এক বছরে দুর্ঘটনার হাল-হকিকত নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে। এবং দুর্ঘটনা কমাতে আরও বেশকিছু সিদ্ধান্ত হতে পারে। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, দুর্ঘটনা রোধে সেফ করিডর তৈরি সব রাজ্যকেই করতে হবে। কারণ সুপ্রিম রোডের তেমনই নির্দেশ। বাংলাতেও তাই সেই কাজ শুরু হতে চলেছে। আগামী একবছরে দুটি সেফ করিডর তৈরি হবে। সেই প্রচেষ্টা সফল হলে সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
[আরও পড়ুন: জয়নগরে সিভিক ভলান্টিয়ারের রহস্যমৃত্যু, বাড়ির অদূরে মিলল দেহ, খুনের অভিযোগ পরিবারের]
Source: Sangbad Pratidin