নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করল লোকসভার এথিক্স কমিটি। শুক্রবার দুপুর ১২টার সময় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ করেন কমিটির প্রধান তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ বিজয় সোনকার। জল্পনা মতোই ওই রিপোর্টে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও রিপোর্টটি পেশের পরই চূড়ান্ত হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। যার জেরে অধিবেশন দুপুর দুটো পর্যন্ত মূলতুবি করে দিতে হয়।
এদিন বিজয় সোনকার এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশের পরই কার্যত ঝড় উঠে যায় লোকসভায়। মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়া শুরু করেন তৃণমূল (TMC) সাংসদরা। পাশে দাঁড়ান কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য শরিকরা। মোদি বিরোধী স্লোগানে কেঁপে ওঠে অধিবেশন কক্ষ। রিপোর্টের কপি সব সাংসদকে দিতে হবে, স্বৈরাচার চলবে না, দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত দুপুর দুটো পর্যন্ত অধিবেশন মূলতুবি করে দিতে হয়।
[আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যের কোচিংয়ে ডামি পরীক্ষার্থীদের রমরমা, অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিলেই মিলছে ৪০ হাজার!]
অধিবেশন মূলতুবি হওয়ার পর জোড়া দাবিতে স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছে তৃণমূল। এরাজ্যের শাসকদলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) আবেদন করেছেন, ওই রিপোর্টের কপি সব সাংসদদের হাতে যাওয়ার পর সেটা নিয়ে আলোচনার জন্য অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। তারপর সেটা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করতে হবে। এবং মহুয়াকেও বলতে দিতে হবে। যদিও এই রিপোর্ট নিয়ে মহুয়ার বিরুদ্ধে কী সিদ্ধান্ত হয়, সবটাই নির্ভর করছে স্পিকারের উপর।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: ভারচুয়াল নয়, শুনানিতে সশরীরে আদালতে যাওয়ার আর্জি পার্থর]
এদিন সকাল থেকেই মহুয়াকে নিয়ে এথিক্স রিপোর্ট পেশ ঘিরে সরগরম ছিল সংসদ অধিবেশন। রিপোর্ট পেশের আগেও একবার বিরোধীদের হট্টগোলে অধিবেশন মুলতুবি করতে হয়। এদিন সকালেই সংসদে ঢোকার মুখে মহুয়া নজরুলের কবিতে উদ্ধৃত করে বলে যান, “অসত্যের কাছে কভু নত নাহি কর শির। ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর।” মহুয়ার দাবি ছিল, “ক্ষমতার নেশায় বিবেকহীন হয়েছে সরকার। ওরা আগে বস্ত্রহরণ শুরু করেছে, এবার মহাভারতের যুদ্ধ দেখবে।”
Source: Sangbad Pratidin