সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শতাব্দীর আটের দশকে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi) নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিলেন তিনি। সেই প্রাক্তন আইপিএস লালডুহোমা (Lalduhoma) মিজোরামের (Mizoram) পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। তাঁর দল জোরাম পিপলস্ মুভমেন্ট (ZPM) বিধানসভা ভোটে পর্যুদস্তু করেছে শাসক মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (MNF)-কে। উত্তরপূর্বের রাজ্যে এই পালাবদলে চর্চায় আইপিএস অফিসার থেকে সফল রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠা লালডুহোমা। কীভাবে সেই উত্থান?
উত্তর খুঁজতে ফ্ল্যাশব্যাকে যেতে হবে। সেটা চার দশক আগের কথা। ১৯৮২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নিরাপত্তা অফিসারের দায়িত্ব পান তরুণ আইপিএস লালডুহোমা। সেই কার্যকালে ইন্দিরা জানতে পারেন, আইপিএস অফিসার হওয়ার আগে মিজোরামের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী সি ছুংগার আপ্ত সহায়ক হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। ইন্দিরার জহুরী চোখেই রাজনীতিতে প্রবেশ লালডুহোমার। পুলিশের চাকরি ছেড়ে লোকসভার সাংসদ হওয়া। দায়িত্ব পান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরও।
[আরও পড়ুন: সংসদে তৃণমূলের ‘বকেয়া’ বাণ, পালটা বিজেপির অস্ত্র ‘চুরি’]
পরবর্তীকালে রাজীব গান্ধীর জমানায় ঐতিহাসিক মিজো চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল লালডুহোমার। যার ফলে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে শান্তি ফিরেছিল। দীর্ঘ রাজনৈতিক ঘাতপ্রতিঘাতে একাধিক দল ছেড়েছেন তিনি। প্রথমে যোগ দেন পিপলস কনফারেন্সে, পরে এমএনএফে। প্রতিটি দলই কোনও কোনও সময় ক্ষমতায় থেকেছে মিজোভূমে। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার সঙ্গে বিরোধের জেরে লালডুহোমা তৈরি করেছিলেন জোরাম ন্যাশনালিস্ট পার্টি। এর পর ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের আগে জেডএনপি হয় জেডপিএম বা জোরাম পিপলস্ মুভমেন্ট । এই সময় আরও কয়েকটি আঞ্চলিক দলকে নিয়ে শক্তি বাড়ান লালডুহোমার।
[আরও পড়ুন: ‘রাস্তায় থাকবে না আমিষ খাবারের স্টল’, ভোটে জিতেই হুমকি রাজস্থানের গেরুয়া নেতার]
তবে চলতি নির্বাচনেই শক্তির সর্বোচ্চ প্রকাশ। ৪০ আসনের মিজ়োরাম বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদু সংখ্যা ২১। লালডুহোমার জেডপিএম জিতেছে ২৭টি আসনে। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার দল এমএনএফ পেয়েছে মোটে ৯টি আসন। হয়তো আরও ১টি জুটতে পারে। বিজেপি এবং কংগ্রেস ২টি ও ১টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন ইন্দিরার প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী ৭৩ বছরের লালডুহোমা।
Source: Sangbad Pratidin