সৌরভ মাজি, বর্ধমান: খুদেদের ফুটবল নিয়ে শর্ট ফিল্ম রোড টু কাতার। গত ফুটবল বিশ্বকাপের আগে তৈরি এই শর্ট ফিল্ম পেয়েছিল ফিফার স্বীকৃতি। সেই শর্ট ফিল্ম মনোনীত হয়েছে ওমানের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী ও শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে। ওমান ফিল্ম সোসাইটি আয়োজিত এই চলচ্চিত্র উৎসব আগামী ৪ থেকে ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সেখানকার রাজধানী মাস্কটে।
গত বছর ফুটবল বিশ্বকাপ আগে এই শর্ট ফিল্ম বানিয়েছিলেন বর্ধমানের কৃষ্ণকান্ত মল্লিক। যিনি কেকে নামেই বেশি পরিচিত। কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর আগে তিনি এই শর্ট ফিল্ম নির্মাণ করেন। কেকে জানান, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর সংলগ্ন এক প্রত্যন্ত গ্রাম কমলপুর। সেখানখার আদিবাসী সম্প্রদায়ের খুদে খেলোয়াড়দের ফুটবলের প্রতি ভালবাসা, উন্মাদনা ও প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গল্প এই ‘রোড টু কাতার’। ঠিকমতো খেলার সরঞ্জাম পায় না তারা। আধুনিক প্রশিক্ষণ তো দূরের কথা। কিন্তু ফুটবল অন্ত প্রাণ সেখানকার খেলোয়াড়রা। নিজের অবলম্বনটুকুও যারা উজার করে দিতে পারে ফুটবলের জন্য। ফুটবল খেলার মাঠের গোলপোস্ট তৈরিতে বিশেষভাবে সক্ষম এক খুদে তার পথচলার অবলম্বন ক্র্যাচটি পর্যন্ত দিয়ে দিচ্ছে। ফুটবল প্রেম এমনই।
[আরও পড়ুন: ‘যানজটে আটকে পাইলট! ফাজলামি হচ্ছে?’, এয়ার ইন্ডিগোর আজব দাবিতে ক্ষুব্ধ কপিল শর্মা]
এই কাহিনি নিয়েই ‘রোড টু কাতার’ শর্ট ফিল্ম। ফুটবল বিশ্বকাপের সময় কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সমাদৃত করেছিল। ফিফাও তাদের ওয়েবসাইটে এই শর্ট ফিল্মকে জায়গা করে দিয়েছিল। এবার ওমানের চলচ্চিত্র উৎসবে বর্ধমানের কৃষ্ণকান্তের এই শর্ট ফিল্ম প্রদর্শিত হবে প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে। বৃহস্পতিবার কেকে জানান, বুধবারই সেখানকার চলচ্চিত্র উৎসব কমিটি ই-মেল করে মনোনয়নের কথা জানিয়েছে। গ্রামের খুদে ফুটবলারদের নিয়ে তৈরি এই শর্ট ফিল্ম আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রদর্শিত হবে। এর থেকে ভাল খবর আর কী হতে পারে। ভবিষ্যতে আরও ভাল কাজে উৎসাহ দেবে।” কৃষ্ণকান্তের এই সাফল্যে গর্বিত বর্ধমানবাসীরাও। বর্ধমান সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এটা আমাদের কাছে খুবই গর্বের বিষয়। এই শহরেরই একটা ছেলে শর্ট ফিল্ম তৈরি করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রদর্শনের সুযোগ পেয়েছে। বর্ধমানের শিক্ষা, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক জগতকেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে ঠাঁই করে দিয়েছে। আরও শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি।”
[আরও পড়ুন: ‘যানজটে আটকে পাইলট! ফাজলামি হচ্ছে?’, এয়ার ইন্ডিগোর আজব দাবিতে ক্ষুব্ধ কপিল শর্মা]
Source: Sangbad Pratidin