রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: খাতায়-কলমে আবাস যোজনার ঘর পেয়ে বসবাস করছেন দুই উপভোক্তা। কিন্তু আদতে প্রাপ্তির খাতা শূন্য। যার বাড়ি পাওয়ার কথা, তিনি পাননি একটি টাকাও! এবার ঘটনাস্থল নদিয়ার (Nadia) তেহট্ট।
বিষয়টা ঠিক কী? একজন ভাবিরন শেখ। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের জন্য আবেদন করেন। সেই মতো বাড়িতে তদন্তে যান প্রশাসনের আধিকারিকরা। কিন্তু তার পর আর কিছুই বলা হয়নি বলে দাবি তাঁর। বাধ্য হয়ে মেয়ের বাড়ি আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। কারণ, নিজের বাড়ি ভগ্নপ্রায়। একই অভিযোগ ওই এলাকারই বাসিন্দা রাবিয়া খাতুনের পরিবারের। ঘর না থাকায় মাটির ঘরে বাস করতে হচ্ছে গোটা পরিবারকে।
[আরও পড়ুন: Jyotipriya Mallick: SSKM-এ কেমন আছেন বালু? জানে না পরিবার-ইডি কেউই! আদালতে দাবি আইনজীবীদের]
অভিযোগ, ভাবিরন ও রাবিয়া খাতুন কয়েকদিন আগে ফের ঘরের আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁদের ঘরের টাকা এসে গিয়েছে। এমনকী টাকাও ঢুকে গিয়েছে অ্যাকাউন্টে। সেইমতো খতিয়ে দেখতেই চক্ষুচড়ক গাছ। খাতায়-কলমে ১ লক্ষ ২০ লক্ষ টাকা ঢুকে গেলেও তাঁদের অ্যাকাউন্টে যায়নি কোনও টাকা। তাহলে টাকা গেল কোথায়? এই নিয়ে বৃহস্পতিবার জেলাশাসক, তেহট্টের মহকুমা শাসক ও বিডিওর কাছে অভিযোগ জানালেন প্রতারিতরা।
রাবিয়া খাতুনের বাবা ভিকু শেখ বলেন, “মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে মাটির দেওয়াল ও টালির ছাউনির বাড়িতে কোনও রকমে থাকি। বছর দুই আগে কানাইনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাস যোজনার ঘরের জন্য আবেদন করি। পরবর্তী সময়ে মেয়ের নামে ঘরের অনুমোদন হয়। আশায় বুক বেঁধেছিলাম। না পাওয়ায় পুনরায় আবেদন করতে গিয়ে জানলাম টাকা নাকি ঢুকে গিয়েছে অ্যাকাউন্টে।” প্রশাসনের কাছে তাঁদের আবেদন, যেন অভিযুক্তরা শাস্তি পায়। এ বিষয়ে তেহট্ট ১ নম্বরের বিডিও সঞ্জীব সেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় ‘চপ’ চর্চা! বিজেপি বিধায়কের কাছে খাওয়ার আবদার মন্ত্রীদের]
Source: Sangbad Pratidin