শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: পেশায় তিনি শিক্ষক। কিন্তু শব্দ নিয়ে খেলাই তাঁর নেশা। সেই নেশার টানেই শুধু ‘প’ আদ্যক্ষরের বর্ণ দিয়ে মোট ৩৭১টি শব্দের ব্যতিক্রমী প্রবন্ধ লিখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুললেন মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের আমতলা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের বাংলার শিক্ষক সঞ্জয় দাস। এই খবর জানাজানি হতেই সঞ্জয়বাবুকে অভিনন্দন জানাতে সোশাল মিডিয়ায় যেন ঝড় উঠেছে শুভাকাঙ্ক্ষীদের। সন্তানের এই স্বীকৃতিতে দাস পরিবারও গর্বিত।
ফরাক্কা ব্লকের নয়নসুখ পঞ্চায়েতের কুলিগ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয়বাবু পেশায় শিক্ষক। চলতি বছরের ১ জুন অসমের শিলচর থেকে প্রকাশিত ‘গতি’ দৈনিক পত্রিকায় ‘প্রজা-প্রজেশ্বর পরিকথা’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। সঞ্জয় দাসই লিখেছেন ওই প্রবন্ধ। গোটা প্রবন্ধ রচিত হয়েছে ৩৭১টি শব্দ সহযোগে। সেখানে প্রতিটি শব্দ শুরু হয়েছে ‘প’ অক্ষর দিয়ে। সর্বাধিক ‘প’ আদ্যক্ষর যুক্ত শব্দ ব্যবহার করে ব্যতিক্রমী এই প্রবন্ধ লেখার জন্য সম্প্রতি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠেছে সঞ্জয়ের। মঙ্গলবার ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের সম্মাননা হাতে পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত এই শিক্ষক।
[আরও পড়ুন: চেকিংয়ের নামে ‘হেনস্তা’, প্রতিবাদ করায় ‘মার’, বিএসএফের বিরুদ্ধে থানায় ছাত্রীরা]
এই সম্মান প্রসঙ্গে সঞ্জয় দাস জানান, ‘‘শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখা আমার নেশা। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখালিখি করি। ‘প্রজা প্রজেশ্বর পরিকথা’ লেখাটি লিখতে গিয়ে ‘প’ আদ্যক্ষর দিয়ে ৩৭১টি বর্ণ ব্যবহার করেছি। ছাত্রাবস্থায় অক্ষয় কুমার দত্তর ‘পল্লীগ্রামস্থ প্রজাদের দূরাবস্থা বর্ণন’ প্রবন্ধটি পড়েছিলাম। প্রবন্ধের বেশ কিছু জায়গায় অনুপ্রাসের প্রচলন ছিল। একদিন আচমকাই এই ধরণের প্রবন্ধ লেখার কথা মাথায় আসে। কিন্তু তার জন্য যে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠবে তা ভাবিনি। আমি এই সম্মানলাভে আপ্লুত।’’ সঞ্জয়বাবুর এই প্রাপ্তিতে তাঁর পরিবারেও খুশির জোয়ার। তাঁর পরিবারের পাশাপাশি এলাকাবাসীও এই শিক্ষকের নজির নিয়ে এককথায় গর্ববোধ করছেন।
[আরও পড়ুন: স্বামী সুড়ঙ্গ থেকে বেরতেই শাঁখ বাজিয়ে স্বাগত স্ত্রীর, সুস্থ আছেন, জানান বাংলার শ্রমিক]
Source: Sangbad Pratidin