সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যে ভোটের গণনা হবে ৩ ডিসেম্বর। তার আগেই পোস্টাল ব্যালট খুলে ফেললেন এক নির্বাচন আধিকারিক। তাও আবার হাইভোল্টেজ মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই কারচুপির অভিযোগে সরব হয়েছে কংগ্রেস (Congress)। বালাঘাট জেলার ওই ঘটনায় মঙ্গলবার তড়িঘড়ি সংশ্লিষ্ট পোস্টাল নোডাল অফিসারকে সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক অনুপম রাজন।
জানা গিয়েছে, বালাঘাটের জেলা নির্বাচন আধিকারিকের বিরুদ্ধে গণনার আগেই পোস্টাল ব্যালট খুলে ফেলার অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস। প্রাথমিক তদন্তের পর তহশিলদার হিসাবে কর্মরত হিম্মত সিং নামে ওই আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়। যদিও মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক রাজন জানান, “বালাঘাটে কোনও পোস্টাল ব্যালট ভোট গণনা হয়নি। পোস্টাল ব্যালটগুলি বিধানসভা কেন্দ্র অনুসারে বাছাই করা হয়েছিল এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে করা হয়েছিল। যদিও সময়ের আগে ব্যালট বাক্স খোলার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটি ঘটেছে। নির্ধারিত তারিখের আগেই খুলে দেওয়া হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে একজন পোস্টাল নোডাল অফিসার এবং তহশিলদারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
निर्वाचन को कलंकित करते बालाघाट कलेक्टर
मध्यप्रदेश के बालाघाट जिले के कलेक्टर डॉ. गिरीश मिश्रा ने आज 27 नवंबर को ही स्ट्रांग रूम खुलवाकर बिना अभ्यर्थियों को सूचना दिए डाक मतपत्रों की पेटियां खोल दी है।
अंतिम साँसें गिनती शिवराज सरकार और सरकार की अंधभक्ति में लीन कलेक्टर… pic.twitter.com/I1UrKmHK5B
— MP Congress (@INCMP) November 27, 2023
[আরও পড়ুন: ‘খারাপ কিছু হয়ে গেলে যে কী হত!’, উত্তরকাশীর শ্রমিকদের সামনে আবেগপ্রবণ মোদি]
যদিও মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনে কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকা জেপি ধানোপিয়ার দাবি, বিজেপির (BJP) সঙ্গে আঁতাঁত রয়েছে জেলা নির্বাচন আধিকারিক গিরিশকুমার মিশ্রর। তাঁদের প্রার্থী ও সমর্থকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিডিও করার পরেই বিষয়টি সামনে আসে। দলের রাজ্য সভাপতি কমল নাথ এমন ঘটনার আশঙ্কা করেছিলেন। অভিযোগ দায়ের করলে কংগ্রেস নেতৃত্বকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ‘আপনাদের অসীম সাহস আর ধৈর্য’, শ্রমিক ও উদ্ধারকারী দলকে কুর্নিশ প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির]
গত ১৭ নভেম্বর ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রাজন এদিন জানান, ৩ ডিসেম্বর প্রতিটি জেলা সদর দপ্তরে ভোট গণনা হবে। সে জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গণনাকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ থাকবে। নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না।
Source: Sangbad Pratidin