সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বিয়ের অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিষাদের সুর। সানাইয়ের বদলে বাড়িতে উঠল কান্নার রোল। শ্যালকের বিয়েতে এসে জলে ডুবে মৃত্যু জামাইবাবুর। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়েই প্রাণ যায় তাঁর। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার-সহ এলাকাবাসী।
দুর্গাপুরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলঝোরের বাসিন্দা স্বপন কুমার সামন্তের ছেলে দেবমিতের বিয়ে ছিল সোমবার। পাত্রী বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদরের পলাশন গ্রামের। শাস্ত্র অনুযায়ী, এদিন ভোর ৫টা নাগাদ স্থানীয় শঙ্খবাঁধে জল সইতে গিয়েছিলেন দিদি দেবস্মিতা কুণ্ডু, জামাইবাবু কৌশিক কুণ্ডু, বাবা স্বপন কুমার সামন্ত ও এক আত্মীয়া। জল সওয়ার সময় আচমকাই শঙ্খবাঁধে পড়ে যান বধূ। জলে ডুবে যেতে থাকেন দিদি দেবস্মিতা। তাঁকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দেন জামাইবাবু কৌশিক। দুজনকে জলে ডুবে যেতে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাবা স্বপন কুমার সামন্তও।
[আরও পড়ুন: ‘টাকা পাঠালাম, লড়াইয়ে থাকুন’, ৩ হাজার বঞ্চিতকে চিঠি লিখে ‘কথা রাখলেন’ অভিষেক]
সঙ্গে থাকা ওই আত্মীয়ার চিৎকারে আশপাশের প্রতিবেশীরা জড়ো হন। তিনজনকে শঙ্খবাঁধ থেকে উদ্ধার করা হয়। জামাইবাবু ও বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জামাই কৌশিক কুণ্ডুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সোমবার দুপুরে মৃত কৌশিক কুণ্ডুর দেহ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মৃত ব্যক্তি শিলিগুড়ির বাসিন্দা। দিদি দেবস্মিতা আপাতত সুস্থ। বাবা স্বপন কুমার সামন্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
[আরও পড়ুন: নথি পোড়ানোর চেষ্টা নাকি নিছক দুর্ঘটনা? হাওড়ায় রেজিস্ট্রি অফিসে অগ্নিকাণ্ডে চাঞ্চল্য]
Source: Sangbad Pratidin