সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৪ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকার পর এবার মাত্র ৯ বলে অপরাজিত ৩১। প্রথম ম্যাচে ১৫৭.১৪ স্ট্রাইকরেট বজায় রাখার পর, দ্বিতীয় ম্যাচে স্ট্রাইকরেট চোখ কপালে তুলে দেবে। ৩৪৪.৪৪। রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) শেষ দিকে ব্যাট করতে নামলেই চার-ছক্কা জলের মতো ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাটিং পরাক্রম দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri), সঞ্জয় মঞ্জরেকরের (Sanjay Manjrekar) মতো ধারাভাষ্যকাররা।
কিন্তু স্লগ ওভারে চাপের মুহূর্তে কীভাবে বাইশ গজে ঝড় তুলে দেন রিঙ্কু? ম্যাচের শেষে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) তরুণ ব্যাটার বলছিলেন, “আমি সাধারণত ছয় নম্বরে ব্যাট করি। তাই আমি জানি এই পজিশনে কীভাবে ব্যাট করতে হয়।” এর পর রিঙ্কু যোগ করেন, “ডেথ ওভারের বিপক্ষের বোলাররা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। আমি শুধু দেখি বল পিচের কোথায় পড়ছে। সেটা দেখেই শট মারি। তবে শট মারার সময় সেই বলটা স্লোয়ার না দ্রুত গতির, সেটা খেয়াল রাখতেই হয়।”
[আরও পড়ুন: ‘যশ’ ছড়িয়ে নতুন রেকর্ড বুকে জায়গা করে কোন ইতিহাসে নাম লেখালেন যশস্বী?]
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুসারে রিঙ্কু সাধারণত ৫-৬ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পান। এত কম সময়ের মধ্যেও কীভাবে ক্রিজে ঝড় তুলে দিতে পারেন এই তরুণ? সেটার জন্য অবশ্য দলের কোচ ভিভিএস লক্ষ্মণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
রিঙ্কু যোগ করেছেন, “সবসময় আমি ৫-৬ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পাই, এমনটা কিন্তু নয়। অনেক সময় আমি মাত্র দুই ওভারও ব্যাট করেছি। এবং সেটা মাথায় রেখেই আমাকে অনুশীলন করতে হয়। কীভাবে স্লগ ওভারে রান তোলা উচিত সেটা নিয়ে লক্ষ্মণ স্যরের কাছ থেকে অনেক পরামর্শ পেয়েছি।”
তিনি দলের বাকিদের থেকে অনেকটাই আলাদা। তাঁর বেড়ে ওঠার প্রতিটি ধাপে রয়েছে লড়াই। আর সেই লড়াই এক লড়েছিলেন বলেই রিঙ্কু প্রতিমুহূর্তে বিশ্ব মঞ্চে নিজেকে তুলে ধরতে পারলেন। তৈরি করে নিয়েছেন নিজের আলাদা পরিচয়।
[আরও পড়ুন: চরম নাটক! শেষবেলায় হার্দিককে ছিনিয়ে নিল মুম্বই! গুজরাটের নয়া অধিনায়ক গিল?]
Source: Sangbad Pratidin