ধীমান রায়, কাটোয়া: এবার বেফাঁস পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব যশ। বললেন, “একটা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী যদি আক্রান্ত হন, একঘণ্টার মধ্যে সেই জায়গা জ্বালিয়ে দেব।” তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল এলাকায়। মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধীরা।
রবিবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের সাহেবগঞ্জে তৃণমূলের তরফে একটি সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় ছিলেন ভাতারের ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব যশ। সেখানে তিনি বলেন, “সহ্যের একটা সীমা আছে। অনেক সহ্য করেছি। আমি তিনবার এই সাহেবগঞ্জের বুকে মার খেয়েছি। কোনওরকমে প্রাণে বেঁচেছি। আমরা মানুষের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মেলামেশা করি ও করব। কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি এই সাহেবগঞ্জ অঞ্চলে ও ভাতার ব্লকের বেশ কয়েকটি জায়গা উত্তপ্ত করার চেষ্টা চলছে। এটা মেনে নেব না। আমরা জানি কীভাবে অশান্তি ঠান্ডা করতে হয়।” বাসুদেববাবুর কথায়, “আমাদের বিধায়ক বলেছেন আমরা রাস্তায় আছি। কোথাও অশান্তি, দাঙ্গা চাই না। ৩৪ বছর ধরে লড়াই করে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছি। আমরা শান্তি চাই। কিন্তু কেউ অশান্তি করলে তার ওষুধ জানা আছে। সেই ওষুধ প্রয়োগ করব। একটা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী যদি আক্রান্ত হন, একঘণ্টার মধ্যে সেই জায়গা জ্বালিয়ে দেব।”
[আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভুয়ো শংসাপত্রের রমরমা! পুলিশের দ্বারস্থ বনগাঁর পুরপ্রধান]
গত বৃহস্পতিবার ভাতারে সিপিএমের “ইনসাফ যাত্রা” কর্মসূচি হয়। তার পালটা শনিবার বিকেলে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নেতৃত্বে বিশাল মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। তার পর শনিবার সন্ধ্যায় ভাতার বাজারে পথসভায় মানগোবিন্দ বলেছিলেন, “সিপিএমের আমলে খুনের বিচার হয়নি। আমাকে গুলি করা হয়েছিল। সেই মামলা পুলিশকে দিয়ে চেপে দিয়েছিল। আর ওরা এখন ইনসাফ যাত্রা করছে। ইনসাফ তো আমরা চাইব। এবার আর বদল নয়, বদলা চাইব।” তার পর এদিন বেফাঁস বাসুদেব যশ। এ বিষয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, “আসলে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই পাগলের প্রলাপ বকছে। প্রচুর মানুষ ইনসাফ যাত্রায় অংশ নিচ্ছেন। তাই বিধায়ক থেকে তৃণমূল নেতা এসব বলছেন।”
[আরও পড়ুন: পেটের টানে ভিনরাজ্যে গিয়ে অঘটন, প্রাণ গেল বাংলার যুবকের]
Source: Sangbad Pratidin