জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election)আগে ফের নাগরিকত্ব ইস্যু উসকে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি। রবিবার রাস উৎসব উপলক্ষে বনগাঁর ঠাকুরনগরে এসে তিনি মতুয়াদের নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে আশ্বাস দিলেন। বনগাঁর (Bongaon)সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে সামনে রেখে তাঁর আশ্বাস, মতুয়াদের নাগরিকত্ব (CAA) দেওয়ার কাজ আগেই শুরু হয়েছে। অমিত শাহ নিজের লোকসভায় এনিয়ে আলোচনা করেছেন। শান্তনু ঠাকুরও (Santanu Thakur) চেষ্টা করছেন। আগামী মার্চের মধ্যে CAA হয়ে যাবে বলে মন্তব্য অজয় মিশ্র টেনির। আর তাঁর এই আশ্বাসে নতুন করে উজ্জীবীত মতুয়া (Motua) সম্প্রদায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের সমালোচনা, নাগরিকত্ব ইস্যুকে সামনে রেখে ফের প্রতিশ্রুতি আসলে ভোট টানার কৌশল।
রবিবার ঠাকুরনগরের (Thakurnagar) ঠাকুরবাড়িতে রাস উৎসবে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি। প্রথমে ঠাকুরবাড়ির হরিচাঁদ- গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এরপর চলে যান নাট মন্দিরে, যেখানে রাসের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি বলেন, ”মতুয়াদের নাগরিকত্বের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টা করছে। নাগরিকত্ব নিয়ে অমিত শাহ লোকসভায় কথা বলেছিলেন। শান্তনু ঠাকুরও চেষ্টা করছেন। আসলে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার যে প্রক্রিয়া, সেটা অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যেসব মতুয়াদের ভারতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাঁরা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের সই করা কার্ড ব্যবহার করুন বিনা বাধায়। শান্তনু ঠাকুরের দেওয়া মতুয়া কার্ড যাঁদের কাছে থাকবে, ভারতবর্ষের কোনও মাইকেলালের হিম্মত নেই যে সেই মতুয়াদের কিছু করবে।”
[আরও পড়ুন: ফের বোমায় ক্ষতবিক্ষত শৈশব, দেগঙ্গায় বিস্ফোরণে আঙুল উড়ল কিশোরের]
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও বক্তব্য, আগামী ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকত্ব নিয়ে সমস্যার সমাধান হবে। ২০১৪ সালের আগে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা CAA-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর যে সমস্ত মতুয়াধর্মী মানুষদের ভারতীয় পরিচয়পত্র নেই তাঁরা শান্তনু ঠাকুরের সই করা কার্ড ব্যবহার করে বিনা বাধায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: সুড়ঙ্গ সংকট: দুসপ্তাহ পার, উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজে এবার মাঠে নামল সেনা]
উল্লেখ্য, এহেন আশ্বাস দেওয়া মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিসের বিরুদ্ধেই উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কুখ্যাত লখিমপুর-খেরিতে কৃষক মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালে আশিসের ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে ৪ জন কৃষকের মৃত্যু হয়। ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে রিপোর্ট দেয় বিশেষ তদন্তকারী দল সিট (SIT)।
Source: Sangbad Pratidin