সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও সূর্যের আলো দেখতে পেলেন না উত্তরকাশীর (Uttar Kashi) সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার রাতে বেশ খানিকক্ষণ বন্ধ থাকে উদ্ধারকাজ। কারণ মাটি কাটার যন্ত্রটি আচমকা বিকল হয়ে যায়। এছাড়াও যন্ত্রটি যে পাটাতনের উপর রাখা হয়েছিল সেটিও ভাঙতে শুরু করে। তবে শুক্রবার সকালে ফের শুরু হবে উদ্ধারকাজ। কিন্তু শ্রমিকদের কবে উদ্ধার করা যাবে, সেই নিয়ে কিছুই জানা যায়নি। উদ্ধারকারীদের মতে, তাড়াহুড়ো করলে বিপদ আরও বাড়তে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রাক্তন উপদেষ্টা ভাস্কর খুলবে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মূলত দুটি কাজ করতে হয়েছে উদ্ধারকারীদের। যে পাটাতনের উপর মাটি কাটার যন্ত্র রাখা হবে সেটি সারিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যন্ত্রের মুখে পাথর জমে গিয়েছিল। সেগুলো কেটে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে উদ্ধারকাজ। তবে সামনের ৫ মিটারে কোনও ধাতব বস্তু নেই বলেই অনুমান। ফলে মাটি কেটে ফেলতে কোনও সমস্যা হবে না।
[আরও পড়ুন: ‘রহস্যজনক’ নিউমোনিয়া কি করোনার মতোই ভয়ংকর? মুখ খুলল চিন]
ভাস্কর আরও জানান, শুক্রবার সকাল এগারোটা বা সাড়ে এগারোটা নাগাদ আবার খননকাজ শুরু হবে। তাঁর অনুমান, শুক্রবারই বের করে আনা যাবে ১৩ দিন ধরে আটকে পড়া শ্রমিকদের। তবে কতক্ষণ পরে মুক্তি পাবেন তাঁরা, তা এখনও জানা যায়নি। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই শ্রমিকদের বের করে আনা হবে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু এখনও সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে রয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ৪৬.৮ মিটার পর্যন্ত খোঁড়া হয়ে গিয়েছে বলে খবর। ৫৭ মিটার পর্যন্ত পৌঁছলেই উদ্ধার করা যাবে শ্রমিকদের।
প্রসঙ্গত, উত্তরকাশীর সিল্কইয়ারা এবং দণ্ডলগাঁওয়ের মাঝে তৈরি হচ্ছিল ওই সুড়ঙ্গটি। টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে আচমকাই ধস নামে। আটকে পড়েন ৪১ শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে বাংলারও তিনজন রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতের অসহযোগিতা’, পাকাপাকিভাবে বন্ধ দিল্লির আফগান দূতাবাস]
Source: Sangbad Pratidin