নিরুফা খাতুন: শীতের আমেজ শহরে। কুড়ির নিচে নামল শহরের তাপমাত্রা। সপ্তাহান্তেও এই আমেজ বজায় থাকবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। তবে শীতের স্পেলে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে নিম্নচাপ। দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। যা সোমবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে আশঙ্কা। বাংলার তার কতটা প্রভাব পড়বে?
কালীপুজো-দীপাবলী পার হয়ে গেলেও শীত যেন অধরা ছিল কলকাতায়। নভেম্বরে মাঝামাঝিতে এসেও পাখা চালাতে হচ্ছিল শহরবাসীকে। জগদ্ধাত্রী পুজোর পরই শহরে পারদ পতন শুরু হয়েছে। মরশুমে এই প্রথম কলকাতার পারদ নেমেছে ২০ ডিগ্রির নিচে। বৃহস্পতিবার আলিপুরের তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি। হাওয়া অফিস বলছে, সপ্তাহ শেষে শীতের আমেজে মেতে উঠবে তিলোত্তমা। আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার শহরে পারদ ১৯ ডিগ্রিতে নামতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। রাতের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি কমতে পারে। তবে এই আমেজ বেশিদিনের জন্য নয়।
[আরও পড়ুন: চোখে নতুন করে সংক্রমণ, অভিষেককে দেখতে গেলেন মমতা]
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, কলকাতায় এই প্রথম পারদ এতটা নিচে নামল। অবশ্য জাঁকিয়ে শীতের পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আপাতত কোনও নিম্নচাপের লক্ষণ নেই। তাই আগামী কয়েকদিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া মনোরম থাকবে। কিন্তু দক্ষিণ আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “২৬ নভেম্বর অর্থাৎ রবিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যদিও তা পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকটা দূরে অবস্থিত। সেই সম্ভাব্য নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।” তার প্রভাবে কি বিলম্বিত হবে শীতের আমেজ? তা অবশ্য স্পষ্ট করেনি হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গে শীতের ইনিংস শুরু হয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য জেলাগুলিতে। সেখানে কনকনে ঠাণ্ডা। যদিও দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় পারা পতন চলছে। পশ্চিমী জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আসানসোল, বর্ধমান, বোলপুরে বেশ ভালো ঠান্ডা। ভোরে ঘন কুয়াশা থাকছে। ইতিমধ্যেই পুরুলিয়ার তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রির ঘরে। বাঁকুড়ায় ১৬ ডিগ্রি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সপ্তাহের শেষদিকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির পারদ আরও নিচে নামবে। পশ্চিমী জেলায় শীতের আমেজ থাকবে ভরপুর।
[আরও পড়ুন: রাজভবনে আটকে ২২ বিল, শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘সরব’ স্পিকার]
Source: Sangbad Pratidin