সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) মহামারীর ধাক্কা এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে নয়া আতঙ্ক চিনে। বেজিং এবং লিয়াওনিংয়ের শয়ে শয়ে শিশু আক্রান্ত হচ্ছে অজানা এবং রহস্যজনক নিউমোনিয়ায়। যার জেরে কার্যত জরুরি অবস্থা হাসপাতালগুলিতে।
UNDIAGNOSED PNEUMONIA OUTBREAK—An emerging large outbreak of pneumonia in China, with pediatric hospitals in Beijing, Liaoning overwhelmed with sick children, & many schools suspended. Beijing Children’s Hospital overflowing. on what we know so far:pic.twitter.com/hmgsQO4NEZ
— Eric Feigl-Ding (@DrEricDing) November 22, 2023
করোনার সময় যেমন চিন-সহ গোটা বিশ্বের চিকিৎসাব্যবস্থায় সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, চিনের কিছু কিছু এলাকার হাসপাতালে এই অজানা নিউমোনিয়ার (Pneumonia) জেরে সেই একই পরিস্থিতি। এই রোগে মূলত শিশুরা আক্রান্ত হলেও ছাড় পাচ্ছেন না বড়রা। ইতিমধ্যেই বেজিং এবং লিয়াওনিংয়ের বেশ কিছু স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছে পড়ুয়া এবং শিক্ষকরা অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে। যদিও এই রোগের পিছনে কোন ভাইরাস দায়ী, তার চরিত্রই বা কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: আর মাত্র ১২ মিটার! বুধবার রাতেই উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার শ্রমিকদের?]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই রহস্যজনক নিউমোনিয়ার মূল উপসর্গ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট। সর্দি বা কাশি এই নিউমোনিয়ার উপসর্গের মধ্যে পড়ছে না। স্থানীয় চিকিৎসকরা বলছেন, বেজিংয়ের বহু হাসপাতালের পরিস্থিতি করোনার শুরুর দিনগুলির মতো। বহু শিশু জ্বর নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। যদিও এই রহস্যজনক নিউমোনিয়ায় এখনও কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে মোটের উপর পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক।
[আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে টানাপোড়েন, প্রেমিকাকে গুলি করে খুনের পর আত্মঘাতী প্রেমিক]
রহস্যজনক এই নিউমোনিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। WHO বলছে, গত তিন বছরের তুলনায় এ বছর চিনে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না। এই নয়া রোগ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিনের কাছে সরকারিভাবে অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিন অবশ্য বলছে, করোনা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়া এবং সাধারণ কিছু ভাইরাস ও ব্যাকটিরিয়ার প্রভাবেই শিশুদের মধ্যে এই ধরনের রোগ বাড়ছে। এতে উদ্বেগের বিশেষ কারণ নেই।
Source: Sangbad Pratidin