রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লোকসভা ভোটের আর ৬ মাসও বাকি নেই। অথচ সংগঠন তলানিতে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও স্তরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। বেগতিক দেখে এবার পুরোপুরি ধর্মীয় মেরুকরণের পথে হাঁটতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। গীতাপাঠের পর রামনবমীকে কেন্দ্র করেও মেরুকরণ অস্ত্রে শান দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। আর তাতে সঙ্গ দিচ্ছে আরএসএসও।
ডিসেম্বরে ব্রিগেডে গীতাপাঠের আসরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আনার চেষ্টা হচ্ছে। আরএসএস (RSS) তাদের মঠ মিশন এবং সংস্কৃতি পরিষদগুলিকে দিয়ে এই কাজ করছে। পাশে থাকছে বিজেপি। ঠিক একইভাবে রামনবমীতে রাজ্যজুড়ে মিছিল করার নির্দেশ এসেছে হাই কম্যান্ড থেকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে দিয়ে এই কাজ করানো হবে। সেক্ষেত্রে সামনে থাকবে না বিজেপির মূল সংগঠন। পিছন থেকে কাজ করবে তারা।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও ভারত-রাশিয়ার বাণিজ্যে ব্যাপক বৃদ্ধি, উচ্ছ্বসিত রুশ রাষ্ট্রদূত]
বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা বলছে, অধিকাংশ লোকসভা আসনেই দলের অবস্থা সঙ্গীন। এই মুহূর্তে ভোট হলে ৫-৬টি আসনও ধরে রাখা যাবে কিনা সংশয় রয়েছে। তাই লোকসভা নির্বাচনে আগে ধর্মীয় মেরুকরণ চাইছে আরএসএস। যাতে রাজ্যে বিজেপির পালে হাওয়া লাগানো যায়। এই কাজে মূল অস্ত্র তিনটি। গীতাপাঠ, রাম মন্দির উদ্ধোধন এবং রামনবমী। সবকটি ক্ষেত্রেই ব্যাপক প্রচার চায় দল। গীতাপাঠের অনুষ্ঠান ডিসেম্বরে, রাম মন্দিরের উদ্বোধন জানুয়ারিতে, আর রামনবমী এপ্রিলে। অর্থাৎ লোকসভা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে হিন্দুত্বের প্রচার চালাবে গেরুয়া শিবির। কয়েকদিন আগে রাজ্য বিজেপির দপ্তরে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
[আরও পড়ুন: টানা চার ম্যাচে জয়, আই লিগে মহামেডান যেন অশ্বমেধের ঘোড়া]
বিজেপি সূত্রের খবর, সারা রাজ্যে রামনবমী উপলক্ষে ১ হাজার ৭০টা মিছিল করা হবে। প্রায় এক কোটি মানুষকে এই মিছিলে যুক্ত করতে হবে। ঠিক হয়েছে, জেলায় জেলায় বুথ স্তরে এই নিয়ে নির্দেশ পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন এই রাজ্যের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতারা। গত বছর রামনবমীর মিছিলে রাজ্যের একাধিক জেলায় অশান্তির খবর এসেছিল। তাতে রাজনৈতিক ফায়দা পেয়েছে বিজেপি। এবারেও যদি তেমন কিছু হয়, তাহলে লোকসভার আগে গেরুয়া শিবির বাড়তি সুবিধা পাবেন বলেই মনে করছে সংঘ এবং গেরুয়া নেতারা।
Source: Sangbad Pratidin