সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালে ডেরা গড়ে তোলার পাশাপাশি পণবন্দিদেরও আটকে রাখা হত! সেই দাবির পক্ষে এবার প্রমাণ পেশ করল ইজরায়েলের (Israel) সেনা। গাজার বৃহত্তম আল শিফা হাসপাতালেই পণবন্দিদের আটকে রাখা হয়েছিল বলে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। উল্লেখ্য, গাজার (Gaza) হাসপাতালগুলোকেই ঘাঁটি করে নাশকতার ছক কষেছে হামাস (Hamas)- দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ এনেছে ইজরায়েল।
রবিবার দুটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় ইজরায়েল সেনার এক্স হ্যান্ডেল থেকে। জানা যায়, এই ভিডিওগুলো গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার দিন আল শিফা হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ। স্থানীয় সময় সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক নেপালি ও এক থাই নাগরিককে নির্মমভাবে হেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে সশস্ত্র হামাস জঙ্গিরা। যদিও ওই দুই পণবন্দি এখন কোথায় রয়েছেন, সেই নিয়ে কোনও তথ্য নেই ইজরায়েলি সেনার কাছে।
[আরও পড়ুন: ‘শক্তিশালীদের বিরুদ্ধে হেরেছ, মাথা উঁচু রাখ’, স্বপ্নভঙ্গের পর রোহিতদের সান্ত্বনা শচীন-গাভাসকরদের]
প্রসঙ্গত, হামাসের ডেরা নির্মূল করতে আল শিফা হাসপাতালে অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল সেনা। গত শনিবারই আল শিফা হাসপাতাল খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও চাপে পড়ে সেনার তরফে বলা হয়, কোনও রোগী বা হাসপাতালের কোনও কর্মীকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। যদিও বিবিসির একটি রিপোর্ট বলা হয়েছে, ইজরায়েলের হামলায় হাসপাতালের ঢোকার মুখ গণকবরের পরিণত হয়েছে। অন্তত ৮০টি দেহ পড়ে রয়েছে সেখানে। নেতানিয়াহু সেনার হাসপাতাল ছাড়ার হুঁশিয়ারির পর ৩০০ জন গুরুতর অসুস্থ রোগী ছাড়া সকলেই প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ফাইনালে খেলানো উচিত ছিল অশ্বিনকে: মনোজ তিওয়ারি]
Source: Sangbad Pratidin