শেখর চন্দ্র, আসানসোল: প্রয়াত ‘নেহরুর বউ’ বুধনি মেঝান। শুক্রবার রাতে পাঞ্চেতের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। স্মৃতিশক্তিও হারিয়েছিলেন। মৃত্যুর পর শনিবার সকালে পাঞ্চেতে তাঁর আবাসনে মৃতদেহ আনা হয়। শনিবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
১৯৫৯ সালে ৬ ডিসেম্বর ডিভিসির পাঞ্চেত জলাধারের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনে এসেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। আর সেদিন আদিবাসীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুধনি মেঝান। তাঁর হাত দিয়ে নেহরু পাঞ্চেত ড্যাম উদ্বোধন করিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানস্থলে ডিভিসির পক্ষ থেকে জওহরলাল নেহরুকে মালা পরিয়েছিলেন। নেহরুও বুধনিকে সম্মান জানাতে তাঁর গলার সেই মালা পরিয়ে দিয়েছিলেন। এর পরেই বুধনিকে পরিত্যাগ করে তাঁদের সমাজ।
[আরও পড়ুন: পর পর কন্যাসন্তান হওয়ায় ক্ষোভ? তিন মেয়েকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা, প্রাণ গেল কিশোরীর]
সমাজ ‘নেহেরুর বউ’ বলে উপেক্ষা করেন এবং সেই উপেক্ষার জন্য তাঁকে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। আদিবাসী সমাজ থেকে কার্যত হারিয়ে যান তিনি। পরবর্তীকালে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ বুধনিকে খুঁজে নিয়ে আসেন এবং আবার তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেন। সময়মতো অবসর নিয়েছিলেন বুধনি মেঝান। ডিভিসির আবাসনে থাকতেন। কিন্তু জীবনে তিনি সঠিক সম্মান পাননি বলেই দাবি এলাকাবাসীদের। তাঁর গ্রামেও ফিরে যেতে পারেনি আর কোনওদিন। তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয় পাঞ্চেত শ্মশানে। তাঁর আগে ডিভিসির পক্ষ থেকে তাকে সম্মান জানানো হয়। সম্মান দেওয়া হয় স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও।
[আরও পড়ুন: পর পর কন্যাসন্তান হওয়ায় ক্ষোভ? তিন মেয়েকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা, প্রাণ গেল কিশোরীর]
Source: Sangbad Pratidin