রমনী বিশ্বাস, তেহট্ট: ভোটযুদ্ধে (Panchayat Poll) সম্মুখ সমরে শ্যালক-ভগ্নিপতি। একজন তৃণমূলে তো আরেকজন বিজেপিতে। আর তাতেই ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ অবস্থা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের। আর এই ভোটযুদ্ধ উপভোগ করছেন এলাকার পলাশিপাড়া বিধানসভার ভোটাররা।
শ্যালক-ভগ্নিপতির ভোটযুদ্ধ চলছে পলাশিপাড়া বিধানসভার তেহট্ট -২ পঞ্চায়েত সমিতির ২১ নম্বর আসনে। ভগ্নিপতি পলাশ সাহা তৃণমূলের প্রতীকে ভোটের ময়দানে নেমেছেন। অন্যদিকে শ্যালক শুভেন্দু মুন্সি বিজেপির প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন।
[আরও পড়ুন: সুহানার সঙ্গে জুটি বাঁধছেন শাহরুখ! কোন ছবিতে দেখা যাবে বাবা-মেয়েকে?]
পলাশি পাড়া বিধানসভার নতিপোতা ও চকবিহারি গ্রামের চারটি বুথ নিয়ে ২১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসন। এই আসনে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে এই চারটি বুথেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। তাই এবার তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলই এই আসনে জয়ের জন্য সচেষ্ট। সেই কারণে পেশায় পুরোহিত শুভেন্দু মুন্সিকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। অন্যদিকে পেশায় ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত পলাশ সাহাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সম্পর্কে তাঁরা শ্যালক-ভগ্নিপতি। যদিও এঁদের দুজনেরই দাবি, ভোটযুদ্ধে দুটি আলাদা দলের হয়ে নামলেও তাঁদের সম্পর্কে কোনও খারাপ প্রভাব পড়বে না।
বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু মুন্সি বলেন, “আমি অনেক আগে থেকেই বিজেপি সমর্থক। এবার যখন দল প্রস্তাব দিল পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী হওয়ার, আর না করতে পারিনি। আমি এই আসন থেকে জিতবই । আমার বিপক্ষে আমার ভগ্নিপতি দাঁড়ালেও আমাদের সম্পর্কের কোনও প্রভাব পড়বে না। আমাদের যেমন সম্পর্ক আছে, তেমন থাকবে।”
[আরও পড়ুন: এখনই বন্ধ হোক পঞ্চায়েত ভোট, জারি হোক জরুরি অবস্থা! আরজি জানিয়ে হাই কোর্টে মামলা]
অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী পলাশ সাহা বলেন,”আমি ছোট থেকেই রাজনীতি করি। কলেজেও তৃণমূল করেছি। এবার আমাকে প্রার্থী নির্বাচন করায় আমি খুশি। মানুষের পাশে আমি সারা বছর থাকি। তাই মানুষ আমাকে দুহাত ভরে আশীর্বাদ করবে। আর আমার সাথে শ্বশুরবাড়ির যে সম্পর্ক, সেই সম্পর্ক থাকবে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাজনীতির কোন প্রভাব পড়বে না।”এ বিষয়ে পলাশের শ্বশুরবাড়ি বলছে, “জামাই ও বাড়ির ছেলে ভোটে দাঁড়িয়েছে। এখন আমরা পড়েছি মহা বিপদে। কাকে ছেড়া কাকে ভোট দেব, তাই নিয়ে আমরা চিন্তায়।”
Source: Sangbad Pratidin